বিশ্বকাপের রানারআপ ক্রোয়েশিয়াকে রীতিমত গোলের বন্যায় ভাসিয়েছে স্পেন। এক এক করে ক্রোয়েটদের ছয়বার বল জড়িয়েছে স্প্যানিশরা। মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচের সেঞ্চুরির ম্যাচে একটি গোলও করতে পারেন জ্লাতকো দালিচের শিষ্যরা।
নিজেদের ইতিহাসে এটাই ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় হার। এর আগে কখনো চার গোলের চেয়ে বড় ব্যবধানে হারেনি তারা। কখনো পাঁচ গোলের বেশি হজম করেনি তারা।

লুইস এনরিকের অধীনে রীতিমতো উড়ন্ত সূচনা করল স্পেন। বার্সেলোনার সাবেক কোচের অধীনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল স্প্যানিশরা। দ্বিতীয় ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপ রানারআপকে।

ঘরের মাঠের ম্যাচটিতে ৬ গোলের প্রথমটি পেতে ২৪ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় স্বাগতিক স্পেনকে। দলের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন সাউল নিগেজ। ইংল্যান্ডকে হারানো ম্যাচেও প্রথম গোলটি আসে তার পা থেকেই।

৯ মিনিট পর জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার মার্কো অ্যাসেনসিও। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে অ্যাসেনসিও করা শটটি দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না ক্রোয়েট গোলকিপারের। দেশের জার্সিতে এটিই অ্যাসেনসিওর প্রথম গোল।

৩৫ মিনিটে তৃতীয় গোলটি পায় স্পেন। এবারে নিজেদের জালেই বল জড়ান ক্রোয়েট গোলকিপার লভরেন কালিনিচ। এতে অবশ্য পুরো কৃতিত্ব অ্যাসেনসিওর। তার বাঁকানো শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসার পথে কালিনিচের পিঠে লেগেই জালে জড়িয়ে যায়। ৩ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন।

বিরতি থেকে ফিরে চতুর্থ মিনিটে গোল উৎসব জারি রাখেন রদ্রিগো। ৫৭ মিনিটে পঞ্চম গোলটি করেন স্পেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস। আর ম্যাচের ৭০ মিনিটে শেষ গোলটি করে গোল উৎসবের ইতি টানেন ইস্কো।

স্পেনের দিনে সহজ জয় পেয়েছে বেলজিয়ামও। প্রথমবার এসেই বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো আইসল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়ানরা। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্টদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রোমেলু লুকাকু। অন্য গোলটি চেলসি ফরোয়ার্ড এডিন হ্যাজার্ডের।

উয়েফা নেশনস কাপের অন্য ম্যাচে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ১-০ গোলে অস্ট্রিয়াকে, ফিনল্যান্ড একই ব্যবধানে এস্তোনিয়াকে, হাঙ্গেরি ২-১ গোলে গ্রিসকে হারিয়েছে। এছাড়া মলদোভা-বেলারুশ এবং সানমেরিনো-লুক্সেমবার্গ ম্যাচ দুটি গোলশূন্য ড্র হয়।

টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে স্পেন। ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট শূন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here