তার মুক্তি নিশ্চিত হওয়ার পর আল সিসিকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। বইটিতে উডওয়ার্ড দাবি করেছেন, আয়া হিজাজিকে মুক্তির বিষয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আল সিসির সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে ট্রাম্প আলোচনা করছিলেন তখনকার হোয়াইট হাউজের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা জন দাউদের সঙ্গে। বলা হয়েছে, ওই সময় দাউদকে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘মনে রাখুন আমি কার সঙ্গে আলোচনা করছি। ওই ব্যক্তিটি হলো একটি ‘ফাকিং’ কিলার। আমি এটা শেষ করে এনেছি। সে আপনাকে ফোনে পেলে ঘামিয়ে ছাড়বে।
২০১৭ সালের এপ্রিলে হিজাজিকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। মানব পাচারের অভিযোগে প্রায় তিন বছর বন্দি থাকার পর তিনি মুক্তি পান। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো বোগাস বা বানোয়াট বলে প্রত্যাখ্যান করে। এর কয়েক সপ্তাহ আগে হোয়াইট হাউসে আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প, এ কাজটি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কখনো করেন নি।
আল সিসিকে ট্রাম্প একজন ফ্যান্টাস্টিক গাই বলে আখ্যায়িত করেন । এর এক বছরের কম সময় পরে আল সিসি মিশরের নির্বাচনে শতকরা ৯৭ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এরপর ফোন করে তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান ট্রাম্প। ব্যাপক প্রচারণা পাওয়ার পর মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে উডওয়ার্ডের ওই বইটি। এতে ওভাল অফিসের ভিতরের উচ্চ মাত্রার জীবনযাপন নিয়ে সমালোচনামুলক তথ্য রয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চরিত্র।
বলা হয়েছে তার চরিত্র ভয়াবহভাবে ত্রুটিপূর্ণ। এতে আরো বলা হয়েছে গত এপ্রিলে রাসায়নিক হামলার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই বইয়ে বলা হয়েছে, একবার ট্রাম্প বলেছিলেন- চলো আমরা তাকে হত্যা করি। শুরু করা হোক। চল তাদের অনেককে হত্যা করি।
বইটি প্রকাশের প্রাক্কালে ট্রাম্প টুইটারে উডওয়ার্ডের বইয়ের নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, এটা একটি ফিকশন বই।