পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের প্রধানমন্ত্রী রাজা ফারুক হায়দারকে বহনকারী হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। রোববার জম্মু-কাশ্মিরের লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে হেলিকপ্টারে একটি গ্রাম পরির্দশনে যাওয়ার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী গুলি ছুড়লে অল্পের জন্য বেঁচে যান এ প্রধানমন্ত্রী। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পুঞ্চ জেলার পাহাড়ি এলাকার আকাশসীমায় পাকিস্তানি একটি হেলিকপ্টার ঢুকে পড়ে। এ নিয়ে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
পাকিস্তানি দৈনিক ডন বলছে, দু’জন মন্ত্রী ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নিয়ে জম্মু-কাশ্মিরের প্রধানমন্ত্রী আব্বাসপুর গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এসময় অল্পের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলা থেকে বেঁচে যায় তাদের হেলিকপ্টার। মন্ত্রিপরিষদের এক সদস্যের ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানাতে প্রধানমন্ত্রী হায়দার ওই এলাকায় যান। প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটে।

প্রধানমন্ত্রী হায়দার বলেন, এ ঘটনা ঘটেছে রোববার বেলা ১২টা ১০ মিনিটে। তিনি বলেন, আমরা শূন্য রেখার কাছে গিয়েছিলাম; তবে আমাদের আকাশসীমার মধ্যেই ছিল হেলিকপ্টার। এছাড়া এটি বেসামরিক হেলিকপ্টার ছিল, সুতরাং এই হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি চালানো উচিত হয়নি ভারতীয় সেনাবাহিনীর।প্রবেশ করেছেন তারা কেউ বৈধতা পাবেন না। যারা স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে তারপর পড়াশোনা বাদ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে তারাও বৈধতা পাবেন না। এছাড়া যারা সিক্সপিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং অনলাইন হয়েছে তারা কেউ বৈধতা পাবেন না।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি শ্রমিক আছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশি তিন লক্ষাধিক। এই অবৈধদের বেশিরভাগই ওপরের ওই তিন ক্যাটাগরির লোক। মালয়েশিয়ান সরকার যদি সিদ্ধান্ত না বদলায় তাহলে ওরা কেউ ‘বৈধ’ হতে পারবেন না। সব শর্ত পূরণ করার পর অবৈধদের মধ্যে ১০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি ‘বৈধতা’ পাবে না বলে জানান তিনি।

চলমান অভিযানে প্রতিনিয়ত অবৈধ বাংলাদেশিরা আটক হচ্ছেন। এ আটকে ভয়ে প্রবাসীরা মালয়েশিয়ার গভীর জঙ্গলে দিন যাপন করছেন। তবে কবে এ অভিযান থামবে সে বিষয়ে এখনো কোনো উত্তর মেলেনি। অভিবাসন বিভাগের চিরুনি অভিযানে বৈধ হওয়ার আশ্বাসে সহায় সম্বল হারিয়েছে লাখ লাখ বাংলাদেশি। রেজিস্ট্রেশন করেও অনেকেই অবৈধ গ্লানি মাথায় নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। অব্যাহত এ অভিযানের ফলে অনেকেই রাতের আধারে জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছেন।

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটিও এই ইস্যুতে ‘নীরব’। এত কিছুর পরও মুখ খোলেননি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্ধশতাধিক সংগঠনের কেউ। মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শাখা কমিটি থাকলেও তারা ‘অবৈধ’দের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। তাদের দৃষ্টি কেবল ঢাকা-লন্ডন। ইদানিং মালয়েশিয়াতে ভিআইপি সফরও কমে গেছে। এর আগে প্রতি সপ্তাহে মিন্টু রোডের ভিআইপিদের মালয়েশিয়ার বুকিত বিন্তাং ও বিভিন্ন শপিংমলে দেখা গেলেও প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়তে পারেন এই শঙ্কায় কেউ ওদিকে পা দিচ্ছেন না।

আতঙ্কিত বাংলাদেশির দিনে কাজে গেলেও রাতের বেলায় ঠিকমত ঘুমাতে পারছে না। ভয় একটায় কখন বুঝি পুলিশি অভিযান শুরু হয়! একাধিক প্রবাসী এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা সবাই প্রবাসী মন্ত্রীর আগমনকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছিলাম এবং ভেবেছিলাম অবৈধ এবং প্রতারণার শিকার অভিবাসীদের পক্ষে জোর প্রচারণা এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের বৈধ হওয়ার সুযোগ করে দেবেন। কিন্তু প্রতিদিন মালয়েশিয়ায় অভিযানে আটক হচ্ছে কোন না কোন বাংলাদেশি। ইদানিংকালে আটকের মাত্রা বেড়েছে।

উল্লেখ্য, জি-টু-জি-প্লাস পদ্ধতিতে ১০টি এজেন্সির বদলে সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মালয়েশিয়া সফররত বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দু’দফা বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here