‘কুইন্স ফার্নিচার’ ও ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলস’ চালু

0
189

নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকায় প্রবাসীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমশ: প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশী কমিউনিটি প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই ব্যবসা-বানিজ্যে এগিয়ে আসছেন। এমনি প্রেক্ষাপটে জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউতে নতুন চালু হলো আরো দুটি বাংলাদেশী মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটির একটি ‘কুইন্স ফার্নিচার’ অপরটি ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলস’। চার বাংলাদেশী যৌথভাবে একই ঠিকানায় ব্যবসা দুটি চালু করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউ ১৬৮ স্ট্রীটের কর্ণারে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা দু’টির গ্র্যান্ড ওপেনিং উপলক্ষ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রোববার ‘কুইন্স ফার্নিচার’ এবং ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলস’-এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের খতিব মির্জা আবু জাফর বেগ। অনুষ্ঠানে জ্যামাইকার মসজিদ মিশন (হাজী ক্যাম্প)-এর প্রেসিডেন্ট ও ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার এবং প্রতিষ্ঠান দু’টির স্বত্তাধিকারী একেএম সফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন, এএম আলম ভূঁইয়া (বিটি) ও শোভন রয় এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।

দোয়া মাহফিল শেষে প্রতিষ্ঠান দুটি’র অন্যতম স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশী সহ স্থানীয়দের সুবিধার্থে ব্যবসা দুটি চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে ট্রালেভ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রবাসীরা বড় ধরণের প্রতারণার শিকার হওয়ায় অনেকেই আর বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে এয়ার টিকেট ক্রয় করতে চাচ্ছেন না। তবে আমরা বিশ্বস্থতার সাথে ট্রাভেল ব্যবসায় আতœনিয়োগ করেছি এবং প্রবাসীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সেবার মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাই। এজন্য তিনি সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।


প্রতিষ্ঠান দুটি’র অন্যতম স্বত্তাধিকারী একেএম সফিকুল ইসলাম ইউএনএ প্রতিনিধি-কে বলেন, জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র। এই এভিনিউর সাতফিন বুলেভার্ড থেকে শুরু করে ১৮৪ স্ট্রীট পর্যন্ত এখন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক বাংলাদেশী। একসময় ১৬৮ ষ্ট্রীট আর হিলসাইড এভিনিউর কর্নারে ‘বার’ স্টার ছিলো। হিলসাইড এভিনিউর কাছাকাছি জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার আর ইকনা মসজিদে যাতায়াতকালে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী বিশেষ করে মুসলিম কমিউনিটি বিব্রত অবস্থায় পড়তেন। পরবর্তীতে এই বার স্টোর ভাড়া নিয়ে আমরা ‘লাইভ ফিস’ ব্যবসায় আতœনিয়োগ করলেও সবদিক বিবেচনা করে বর্তমানে ফার্নিচার ক্রয়-বিক্রয় এবং ট্রাভেল ব্যবসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন ব্যবসায় সফলতার জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
ইউএনএ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here