অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে সিংহভাগ হচ্ছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। এদের অনেকেরই বিচার-বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের ক্ষমতা নেই। ফলে তারা অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হন। তাই বিনিয়োগের শিক্ষাই তাদের সুরক্ষা দিতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে ১০ বছর ক্ষমতায় থাকায় ব্যক্তিগত ও সরকারি বিনিয়োগ বেড়ে ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর মতে, বিনিয়োগের ফলেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। তাই দেশ ও দেশের মানুষের সমৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। শেখ হাসিনার সরকার আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধি লাভ করবে।
তিনি বলেন, কোনো বিনিয়োগকারী কোথায়, কখন, কীভাবে, কী পরিমাণে বিনিয়োগ করবেন, সে সিদ্ধান্ত তার নিজের। বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি না বুঝে সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে ব্যর্থতার কারণে কোনো বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগকারী যদি তার আর্থিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হন, তবে তার বিনিয়োগ ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। তাই আইনকানুন প্রণয়নের পাশাপাশি যথাযথ নজরদারির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা উচিত।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন প্রমুখ।