জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পদত্যাগপত্র জমা দেন। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস নিউজ বলছে, নিকি হ্যালির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর আগে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে গিয়ে পদত্যাগের ব্যাপারে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন সাউথ ক্যারোলিনার সাব্কে এই গভর্নর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, সকাল সাড়ে ১০টায় ওভাল অফিস থেকে আমার বন্ধু জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির ব্যাপারে বড় ধরনের ঘোষণা আসছে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিকি হ্যালি ওভাল অফিসে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন।

ট্রাম্পের সবচেয়ে আস্থাভাজন ছিলেন ক্যারোলিনার সাবেক এই নারী গভর্নর। তবে হোয়াইট হাউসে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কিনা সেব্যাপারে কোনো তথ্য নিশ্চিত করেননি তিনি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক মাইকেল উলফের লেখা ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ বইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিকি হেইলির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়। বইয়ে প্রকাশিত এই গুজব ছড়িয়ে পড়ায় নিকি হেইলি মুখ খুলতে বাধ্য হন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রেমের গুজবের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর।

হেইলির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের ব্যাপারে এইচবিও প্রোগ্রামের বিল মাহেরকে বলেছিলেন, ট্রাম্পের ব্যাপারে তার কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ছিল; যা তিনি বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তবে চূড়ান্ত প্রমাণ না থাকায় তিনি বই থেকে বাদ দিয়েছেন।

তবে তিনি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বইটির শেষ লাইন পর্যন্ত পাঠককে পড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এরপরই আপনি চমকপ্রদ বিষয়টি জানতে পারবেন।

এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় যে এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিমানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন নিকি হেইলি। টুইটের শেষ জুড়ে দেয়া হয়, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ট্রাম্পের।

এদিকে, গুজবের জবাবে হেইলি বলেছিলেন, ‘চরম বিব্রতকর’, ‘বিরক্তিকর’ এবং ‘আসলেই এটি ঠিক নয়’। তিনি বিমানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুধুমাত্র তখনই ছিলেন; যখন সেখানে আরো অনেকেই উপস্থিত ছিল। আমি কখনোই সেখানে একা ছিলাম না।

পদত্যাগকারী মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত সেই সময় বলেন, অধিকাংশ পুরুষই নারীদের সম্মান করেন। তবে অল্প কিছু পুরুষ আছেন যারা নারীকে সম্মান দিতে জানেন না; তারাই নারীকে নিয়ে এমন গুজব ছড়ায়।

নিকি হেইলি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিক। ২০১০ সালে সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর নির্বাচিত হন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here