নিউইয়র্ক (ইউএনএ): ২০০৮ সালের চাঞ্চল্যাকর ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা নিউইয়র্কে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে। নিউইয়র্কে ষ্টেট বিএনপির ব্যানারে দলীয় নেতা-কর্মী প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসে। এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দেয়া রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বলে মন্তব্য করে বলেছেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এবং তার রাজনীতি নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যে রায় দেয়া হয়েছে তা দেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ব্রঙ্কসের স্টার্লিং-বাংলাবাজার এলাকায় গত ১০ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা ইমরান শাহ রন ও একে আজাদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।
বিক্ষোভ শেষে স্থানীয় নিরব রেষ্টুরেন্টে নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপি’র সভাপতি ইমরান শাহ রনের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক একে আজাদের সঞ্চালনায় এক প্রতিবাদ সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে এমডি হাফিজুর রহমান, মিয়া মোহাম্মদ দাউদ ও মোহাম্মদ সোলেমান বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সুফিয়ান চৌধুরী, আহমাদ জামিল, মোমতাজ উদ্দিন, মোজাম্মেল মুরাদ, হোসেন মিয়া, ফায়জুর রহমান, আব্দুস সালাম, নাছির উদ্দিন, আতিকুর রহমান, মাসুদ রানা, রিপন সরকার, এমডি আলাউদ্দিন, বকতিয়ার রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।
সভায় ইমরান শাহ রন বলেন, জিয়া পরিবার তথা জাতীয়তাবদী শক্তিকে ধ্বংস ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার একের পর একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানকে নির্বাচন থেকে তাদের দূরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে সরকার মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়াপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরীন করে রেখেছে। তিনি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া রায় প্রত্যাখ্যান ও অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেন।
সভায় বক্তারা সম্প্রতি জাতিসংঘের সামনে বিএনপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ও তার ছেলের উপর জ্যাকসন হাইটসে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তার নিন্দা ও দোষীদের শাস্তি দাবী করেন।