মুসলিম বিশ্ব ও উন্নত বিশ্বের মানসিকতার তফাৎ ——

0
138


নোমান সেলিম:

২০০৩ সালের ১ আগষ্ট একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে এয়ার এমিরেটস এ চড়ে কানাডার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ি। দুবাই ইমিগ্রেশনে আমার স্বাজাতীয় মুসলিম ভাইয়েরা যা বললেন ও করলেন তার অর্থ হলো আমি মিসকিন ও জীব জগতের অতি ক্ষুদ্র ও অপ্রয়োজনীয় একটি কীট পতঙ্গ। নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নাজেহালের পর ভিসা ও সব কাগজপত্র পরীক্ষা শেষে পরবর্তী ফ্লাইটের বোডিং পাস দেয়া হলো। লন্ডনের হিথ্রো হয়ে কানাডার হ্যালিফ্যাক্স এয়ারপোর্টে নামার পর ইমিগ্রেশন অফিসারদের সৌজন্যতায় নিজেকে বিশ্বের অতি দামী একজন মানুষ ও সত্যিকারের আশরাফুল মাখলুকাত বলেই মনে হলো।


এরপরেও বেশ কয়েকবার আরব দেশ ও উন্নত দেশগুলো ভ্রমনের সুযোগ হয়েছে, দৃশ্য একই। আরব বিশ্ব কখনোই আমাদের মিসকিনের পরিবর্তে মানুষ মনে করেনি।
সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্র্রীর চেয়ারে ট্রুডোর ৯ বছরের মেয়ে। বিশ্ব কন্যা দিবস উপলক্ষে জৌলসহীন ব্যক্তিত্ব ট্রুডো এ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। অল্পকিছুদিন আগে জাতি সংঘের সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে অবসর সময়ে সদর দপ্তরের বাইরে ফুটপাতে বসে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান ফাইল ওয়ার্ক করছেন। এ ছবিটিও ভাইরাল হয়।
অথচ খাদেমুল হারামাইন সৌদী বাদশার বহরের জন্য অত্যাধুনিক আড়াইশ গাড়ী পনেরশ খানসামা ও পুরো একটা টেন স্টার হোটেল আসেপাশের পুরো এলাকাসহ ভাড়া করা হয়। বিমান থেকে নামার জন্য সোনার তৈরী চলন্ত সিড়ি নেওয়া হয় আলাদা বিমানে। কিছুদিন আগে সৌদী রাজকুমার ফ্রান্সে বিশ্বের দামী রাজপ্রাসাদ কিনে নিয়েছেন।
মুসলিম বিশ্বের নেতাদের মানসিকতা আদৌ কি পরিবর্তন হবে —————-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here