সাকিব বললেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থেকে হাতে শক্তি ফিরিয়ে নামতে চান মাঠে।
মেলবোর্নে একজন হ্যান্ড থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন সাকিব। সেখানে ৯ দিন কাটিয়ে দেশে ফিরে বিশেষজ্ঞের মতোই দিলেন নিজের ইনজুরি আপডেট।
‘ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু এটা প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে টেস্ট করতে হবে। দেখতে হবে বাড়ল কি না বা অন্য কোনো সমস্যা হল কি না।’
এখনই কেন সার্জারি করা যাবে না ডাক্তারের ভাষায় সেটিও বললেন সাকিব, ‘ইনফেকশন যদি হাড়ের ভেতর থেকে থাকে সেটা সারার সম্ভাবনা নেই। হাড়ের ভেতর রক্ত যায় না। আর অ্যান্টিবায়োটিক রক্তের মাধ্যমেই ছড়ায়। যেখানে ব্লাড যাবে না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে কাজ করবে। এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৬-১২ মাসের মধ্যে সার্জারি করা যাবে না।’
মাঠে ফিরে আসার সুখবরটা সাকিব দিলেন সবার শেষে, ‘ভাল দিকটা হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারির সুযোগ নেই, তাই আমি ফিজিওর পরামর্শে চিন্তা করছি সার্জারি না করে কীভাবে খেলা যায়।’
বিশ্বকাপে সাকিবের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকবে এমন খবর শোনা যাচ্ছিল। আসলেই কি তাই?
‘এটা এমন একটা সমস্যা যার কোনো সময়সীমা নেই। আমি হয়তো পরের মাসেই খেলতে পারি। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুব ভাল ফিল করছি। এখন শুধু গুরুত্বপূর্ণ হল আমার হাতে স্ট্রেন্থ কত দ্রুত ফিরে আসে। সেটা রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়িও ফিরে আসতে পারে। সেটা যদি আসে সামনের মাসেই খেলতে পারি। যদি দেখি ব্যথা হচ্ছে তখন অপেক্ষা করতে হবে সার্জারি পর্যন্ত।’
‘এটা অনিশ্চিত একটা ব্যাপার। একটা জিনিস ভাল যে এখন মনে হচ্ছে ইনফেকশনের পর সার্জারি না করেও খেলা যেতে পারে। কবে মাঠে ফিরতে পারব নিশ্চিত করে বলাটা মুশকিল। হতে পারে এক মাস পরও খেলতে পারি। আবার ৬ মাসও লাগতে পারে।’
চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। দলে নেই সাকিব। নভেম্বরে ঘরের মাঠে আরও একটি সিরিজ অপেক্ষা করছে। হাতে শক্তি ফিরে পেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিরতে পারেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।