স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘যাদের নাই ভোট তারাই করছে জোট। জোট করে বরং বিএনপির ভোট কমেছে। বিএনপি এখন সাত দফা দাবি তুলছে। তাদের এই দাবি মানা হবে না। এখন সবার একটাই দফা সেটা হচ্ছে এ মুহূর্তে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। আগামী নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ এবং সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ২০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত নতুন করে চক্রান্ত করছে। নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত করে কোনও লাভ হবে না। কিংবা নির্বাচনের সময় কোনও অযুহত সৃষ্টি করেও লাভ হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ধারাবাহিকতার কারণে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর উন্নতির দিক দিয়ে আজ কোথায় চলে গেছে। ক্ষমতার ধারাবাহিকতা আছে বলে দেশে আজ উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এবং আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হারিয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। তিনি অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দেশে অবিস্মরণীয় পরিবর্তন এসেছে।’

তিনি আরও বলেন,‘দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আমাদের এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। আমরা আগামী নির্বাচনের আগেই ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করবো।’

জিনজিরা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘এ হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায়-অযত্নে এবং লোকবলের অভাবে বন্ধ হয়ে ছিল। আমরা এর আউট ডোর চালু করেছি। আগামী নির্বাচনের আগেই এ হাসপাতালের লোকবল বাড়ানোর জন্য নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০৮ সালের আগে নির্বাচনে ভোটের আশায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আগে জনবল ছাড়াই দেশব্যাপী এধরনের কিছু হাসপাতাল নির্মাণ করে গিয়েছিল।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

এসময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন,‘বিএনপি জামায়েত জোট শাসনামলে অপরিকল্পিতভাবে এ হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। হাসপাতাল নির্মাণের নামে এখানেও তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করেছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবুল কুমার সাহা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান মোল্লা, ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী মফিজুর রহমান মজুমদার, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. এহসানুল করিম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মাইনুল আমিন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসাইন, জিঞ্জিরা ইউপি চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু ও জিনজিরা ২০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। পরে মন্ত্রী দোলেশ্বর এলাকার ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here