শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় মানসী দীক্ষিত (২০) নামে এক মডেলকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোজাম্মেল সৈয়দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোজাম্মেল নিজের দোষ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধু দোষ স্বীকার করাই নয়, কেন মানসীকে সে খুন করেছে, সেটাও জানিয়েছে মোজাম্মেল।
পুলিশের বক্তব্য, মানসী গত সোমবার মোজাম্মেলের বাড়িতে যান। সেখানে মোজাম্মেল তাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন মানসী। এরপরই তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। উত্তেজনা এতটাই চরম পর্যায়ে যায় যে, রাগের বশে চেয়ার দিয়ে মডেলের মাথায় সজোরে আঘাত করেন মোজাম্মেল। এরপর দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে।

খুনের প্রমাণ না রাখতে মরদেহ স্যুটকেসে ভরে ক্যাব বুকিং করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মোজাম্মেল। মাঝপথে মোজাম্মেল ক্যাব দাঁড় করিয়ে ওই স্যুটকেসটি ফেলে দেন ঝোঁপের মধ্যে। ক্যাবের ভাড়া না মিটিয়ে অটোরিকশায় করে পালিয়ে যান মোজাম্মেল। ১৯ বছরের মোজাম্মেলকে ধাওয়া করে ক্যাব চালকও। তাকে ধরতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই চালক।

এরপর তদন্তে নেমে ওই স্যুটকেসের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। ক্যাবের চালকের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় স্যুটকেস বন্দি মডেলের মরদেহ। এরপর মোজাম্মেলের ফোনের লোকেশন ট্রাক করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে মোজাম্মেল জানিয়েছেন, মানসী তার বাড়িতে আসলে তিনি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে মানসী রাজি না হওয়ায় রেগে গিয়ে মোজাম্মেল তার মাথায় আঘাত করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here