বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘দলে কোন পরিবর্তন আসবে কিনা বলা এখনই কঠিন। আমাদের দুই-তিনজন খেলোয়াড় এখনো বাইরে আছে। তবে এটা আমাদের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। যারা দলে আছে হুট করে তাই তাদের সরিয়ে দেওয়া কঠিন। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমাদের কোচ-নির্বাচকরা আছেন। অনুশীলন শেষ হলে সন্ধ্যার পরে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে আামি মনে করি, দল নিয়ে বিলাসিতা করার পর্যায়ে বাংলাদেশ এখনো যায়নি।’
বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনে ব্যাট করা ফজলে রাব্বি প্রথম ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন। অভিষেক ম্যাচে কোন রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে মাশরাফি মনে করেন এক ম্যাচ দিয়ে কাউকে বিচার করা যায় না। ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বলটি একটু লাফিয়ে ওঠায় হয়তো সে খেলতে পারেনি। মানসিক চাপ ছিল তার। আমার কাছে এটা চিন্তার কারণ বলে মনে হয় না। প্রথম ম্যাচে দলে যারা খেলছে বা খেলেছে আমার মনে হয়েছে তারা ভালোই করেছে এখন এটা ধরে রাখার পালা।’
বাংলাদেশের শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচে ওপেনাররা সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবার ওপেনে ফিরে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন ইমরুল কায়েস। এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি পান মুশফিকুর রহিম। এক ম্যাচে ৯৯ রানও করেন তিনি। মাশরাফি এটাকে দলের জন্য খুব ভালো বলে মনে করছেন। তামিম দলে ফিরলে ওপেনিংয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতা হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে মাশরাফির চিন্তার বিষয়ও আছে।
চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মাশরাফি বলেন, ‘টপ অর্ডারে একজন করে সেঞ্চুরি করার পরও আমাদের রাত তিনশ’ হচ্ছে না। একজন সেঞ্চুরি বা বড় ইনিংস খেললে এমনিতেই তিনশ’ রান হয়। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কেউ দাঁড়াতে পারছে না। কিংবা যখন কারো জুটি গড়া দরকার তখন সেটা কেউ করতে পারছে না বলে দলের রান বড় হচ্ছে না। দলের মধ্যে এটা নিয়ে সমন্বয় দরকার।’