২২ বছর বয়সী জিন্নাত আলীর উচ্চতা ৮ ফুট ৫ ইঞ্চি। তিনি রামু উপজেলার গর্জনিয়ার বড়বিল গ্রামের আমির হামজা ও শাহপুরি বেগমের ছেলে। আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, মমতা ও উন্নয়নে তিনি মুগ্ধ। এ ছাড়া দরিদ্র মানুষের প্রতি এমপি কমলের ভালোবাসা দেখে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তিনি জানান, সম্প্রতি এমপি কমলের সহায়তায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি কমলের প্রতি কৃতজ্ঞ।

জিন্নাত আলী আরও বলেন, অনেকদিন থেকেই তিনি শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তার খবর কেউ রাখেনি। ওই সময় এমপি কমল প্রতি মাসে তাকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। এ সহায়তা পেয়েছেন বলেই তিনি এখনও বেঁচে আছেন। যে দলের নেত্রী ও নেতা এত আন্তরিক হয়ে মানুষের পাশে থাকেন, সে দলের সঙ্গে সবারই থাকা উচিত। তাই তিনি চান আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী বা সেবক হয়ে দলের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রামু-কক্সবাজারসহ দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

এমপি কমল বলেন, জিন্নাত আলী বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘমানব। তিনি বাংলাদেশের অহঙ্কার। তবে কয়েক বছর ধরে তিনি দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি নগদ সহায়তা দিয়েছেন। এমনকি তাকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেছেন। যার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন দরদ দেখেই জিন্নাত আলী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন এবং দলের জন্য আজীবন কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here