যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি এমবিএস নামেও পরিচিত, তিনি এখন ইস্তাম্বুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের কারণে চাপের মুখে রয়েছেন।
প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেলআজিজ এতদিন স্বেচ্ছা-নির্বাসনে লন্ডনে অবস্থান করছিলেন।
পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন সৌদি রাজপরিবারে তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদের জায়গা নিতে পারেন।
রিয়াদে তার প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে সৌদি কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে কিছু নিশ্চিত করে নি। এরকম কোন নিশ্চয়তা না-ও আসতে পারে।
কী শর্তে তিনি ফিরেছেন তাও স্পষ্ট নয়, তবে মনে করা হচ্ছে, তার নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পেয়েই তিনি ফিরেছেন।
কিন্তু বিবিসির সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, এই খবরটি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে সৌদি রাজপরিবারের সূত্র থেকেই, এবং এ থেকে আভাস পাওয়া যায় যে ওই অঞ্চলে এখন প্রিন্স মোহাম্মদেরভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে।
এর কারণ -সম্প্রতি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি খুন হবার ঘটনা। খাসোগজি সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক ছিলেন।
সৌদি আরব বলেছে, নিয়ম ভঙ্গকারী একদল এজেন্ট তাকে হত্যা করেছে এবং সৌদি যুবরাজের সাথে এ ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। এর পর সৌদি আরবে কিছু লোককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেছেন, সৌদি আরবের প্রধান কৌঁসুলিকে বের করতে হবে – জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ কে দিয়েছিল, এবং হত্যার জন্য ১৫ জনের একটি দলকে কে ইস্তাম্বুল পাঠিয়েছিল। সৌদি আরবের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি এখন ইস্তাম্বুল সফর করছেন।
জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের যোগ দিতে অনুমতি দেওয়ার জন্যে সৌদি আরবের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, খাসোগজির মরদেহ কোথায় আছে সৌদি কর্তৃপক্ষকে সেটা খোলাসা করতে হবে।
তার মৃতদেহে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হলে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।-বিবিসি