একেবারেই বাজে একটি দিন কাটিয়েছিল বাংলাদেশ গতকাল রোববার। সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৪৩ রানে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে নিয়েছিল স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ১৩৯ রানের লিড নেওয়া অতিথি দলটির দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় মাত্র ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে। মাঝখানে কিছুটা দৃঢ়তা দেখালেও পরে স্পিনার তাইজুল ইসলামের বোলিং তোপে একরকম নাজেহাল হয়ে পড়েছিল তারা। অবশ্য এর মধ্যেও বড় লিড নেয় তারা। স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দেয় ৩২১ রানের।

জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান করেছিল। জবাবে বাংলাদেশ মাত্র ১৪৩ রানে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ১৮১ রান করলে স্বাগতিকদের সামনে তিন শতাধিক রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় তারা।

তবে এই ম্যাচে বাংলাদেশি স্পিনার তাইজুল ইসলামের উজ্জ্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি প্রথম ইনিংসে ১০৮ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছর পর, টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচে মোট ১১ উইকেট পান।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখায়। দেড় শতক করতে পারেনি। দলীয় আট রানের মাথায় প্রথমে ইমরুল কায়েস (৫) সাজঘরে ফিরেছিলেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আরেক ওপেনার লিটন দাসও (৯) আউট হয়ে যান। তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, পাঁচ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথে রওনা হন। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও।

তবে অন্যদের ব্যর্থতার দিনে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান আরিফুল হক। ৪১ রানের হার না মানা চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন তিনি। কিছুটা চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম (৩১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (২১)। কিন্তু তাঁরা খুব একটা এগিয়ে নিতে পারেননি। প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বল্প রানে ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here