আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেক রহমান একজন দণ্ডিত আসামি। তিনি কীভাবে একটি দলের প্রার্থী ঠিক করেন। তারেক রহমানের এই সাক্ষাৎকার নেওয়া বন্ধ না করে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। কবি ও মুক্তিযোদ্ধা ত্রিদিব দস্তিদারের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একের পর এক অভিযোগ করছে-আমরা নাকি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি। নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল তারেকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ বন্ধ করা। তাই আমি নির্বাচন কমিশনকে বলবো বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফয়সালা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত থাকবে নাকি আমরা পঁচাত্তরের পরের পরিস্থিতিতে ফিরে যাব।

তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যদি জয় লাভ করে তাহলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী ও ড. কামাল হোসেন নাকি রাষ্ট্রপতি হবেন। কারণ তারেক রহমান বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। এর অর্থ তাদের নেতা তারেক। ড. কামাল হোসেনের নেতাও তারেক রহমান। সিদ্ধান্ত তো ড. কামাল হোসেন দিতে পারেন না। সিদ্ধান্ত দেন তারেক রহমান।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপেিত্ব আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, চিত্রনায়িকা ফারহানা আমীন নতুন, অরুনা বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here