একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাউন্টডাউন চলছে। আর ২৪ দিন পর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। মনোনয়নপত্র জমা ও বাছাইর পালা শেষ, এখন অপেক্ষা প্রত্যাহারের দিন ৯ ডিসেম্বরের জন্য। তারপর শুরু হবে ভোট যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ কেমন হবে তা নিয়ে রয়েছে নানা শঙ্কা।

এবার নির্বাচন হচ্ছে একটি দলীয় সরকারের অধীনে। তাই শঙ্কার মাত্রাটাও বেশী। গ্রামের চা দোকান থেকে শুরু করে শহরের চায়ের স্টল, সর্বত্রই নির্বাচন নিয়ে আলোচনার ঝড়। অনেক ভোটার আশংকা করছেন, ভোট দিতে পারবেন কি না। আর বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে গ্রেপ্তার আতঙ্ক।

বিএনপির অনেক প্রার্থী দলীয় ভাবে মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পরও এলাকায় যেতে পারছেন না। প্রার্থীরা বলছেন, এলাকায় যাওয়ার মত পরিবেশ এখনো হয়নি। প্রায় প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি ও এলাকা ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে তাদের।

কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী শরিফুল আলম জানালেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা এলাকা যাবেন। তিনি বলেন, পুলিশ নানা ভাবে গ্রেফতার বাণিজ্য করেই চলেছে। এর প্রতিকার নেই। সেনাবাহিনী নামানো হলে হয়তোবা পরিস্থিতির কিছু পরির্বতন হতে পারে। তারপরও আতংক তো আছেই।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হানা দিচ্ছে পুলিশ। তাদেরকে না পেলে পরিবার পরিজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। নির্বাচনের পরিবেশ একেবারেই নেই।

বিএনপি মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে সমতল মাঠ তৈরি করতে সর্ম্পূণভাবে ব্যর্থ হয়েছে নিবাচন কমিশন। সর্বত্রই একটা অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে।

সুত্র: আমাদের সময়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here