![FILE PHOTO: People ride a tricycle at a internally displaced persons camp for Rohingya people outside Sittwe in the state of Rakhine](http://banglakhobar.net/wp-content/uploads/2018/12/image-119215-1544079342-696x392.jpg)
![FILE PHOTO: People ride a tricycle at a internally displaced persons camp for Rohingya people outside Sittwe in the state of Rakhine](http://banglakhobar.net/wp-content/uploads/2018/12/image-119215-1544079342-696x392.jpg)
গত মাসে বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছিল। বিশ্বের নজর যখন এই প্রত্যাবাসনের দিকে, তখন মিয়ানমারের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে কয়েকশ রোহিঙ্গা নৌকায় চড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
তাদের এই পলায়ন চেষ্টায় মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের ঘিঞ্জি আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা এক লাখ ২৮ হাজারসহ অন্যান্য উদ্বাস্তু রোহিঙ্গার দিকেই সবার নজর চলে আসে। উগ্র বৌদ্ধরা তাদের বাড়িঘর ভস্মীভূত করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার পর এসব ক্যাম্পে গাদাগাদি করে বসবাস করতে হচ্ছে তদের।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে থাকা মিয়ানমারের সু চি সরকার বলেছে-তারা ক্যাম্পগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে। উন্নয়নে সহায়তা ও শরণার্থীদের শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগাতে তারা এগুলো বন্ধ করছেন।
এ বিষয়ে রয়টার্স ফোনে কয়েকডজন রোহিঙ্গা বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ নথি পর্যালোচনা করে দেখেছে, এসব রোহিঙ্গাকে তাদের আদি আবাস ভূমিতে ফিরতে দেয়া হচ্ছে না, যেখান থেকে তারা পালিয়েছিলেন। বরং আশ্রয় ক্যাম্পের পাশে স্থায়ী বসতি বানানো হচ্ছে।
এতে তাদের জীবনে সামান্য উন্নতিও ঘটবে না বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নতুন বসতিতে যাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তাদের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। স্বাধীনভাবে চলাফেরা দূরের কথা, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে এসব রোহিঙ্গাকে।
ক্যাম্পের বাসিন্দারা বলেন, আনুষ্ঠানিক তল্লাশিচৌকির বিশাল নেটওয়ার্ক ও উগ্র বৌদ্ধদের সহিংসতার আশঙ্কায় মুক্তভাবে চলাফেরা করতে তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে।
এতে জীবিকার উৎসগুলো থেকে তারা বিচ্ছিন্ন রয়েছেন এবং মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করেই দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
মধ্য রাখাইনের নিদিন ক্যাম্পের নেতা কেইয়াও আয় বলেন, হ্যাঁ, আমরা নতুন বসতিতে যাচ্ছি। তবে এটি বললেও ভুল হবে না যে, ওই ক্যাম্প রূদ্ধ। তবে এতে করে আমরা কখনই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারব না। কারণ আমাদের কোথাও যেতে দেয়াই হচ্ছে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদকদের ক্যাম্পগুলোতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি, বিধায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে হয়েছে।
সহায়তা কর্মীরা বলেন, জাতীয় প্রত্যয়নপত্র হাতে পাওয়ার পরও রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দেয়া হচ্ছে না।
অক্টোবরে মৌসুমি বৃষ্টি কমে গেলে অন্তত তিনটি নৌকায় চড়ে কয়েকশ রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ রাখাইন থেকে মালয়েশিয়ার পথে রওনা দেন।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা যুব নেতা খিন মং বলেন, তারা যদি নৌকায় করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, এতে প্রমাণিত হয়-রাখাইনের ক্যাম্পগুলোর অবস্থা কতটা খারাপ।