১-১ সমতায় থাকা তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেটি রূপ নিয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। সিলেটের ওয়ানডে অভিষেকটা জয় দিয়েই রাঙিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ১৯৯ রানের ছোট লক্ষ্যটা ভালোভাবেই পার করেছেন তামিম-সৌম্যরা। তামিম ও সৌম্যের নান্দনিক ফিফটিতে ভর করে ৮ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে মাশরাফি বাহিনী।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিং নেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে শাই হোপের অনবদ্য শতকে ভর করে ১৯৮ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ক্যারিবীয়রা। টাইগাররা সর্বমোট ৯টি উইকেটের পতন ঘটাতে পেরেছিল। ১৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০৫ বল ও ৮টি উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছায় বাংলাদেশ।
টাইগারাদের হয়ে সৌম্য সরকার ৮০ রানে ফিরলেও তামিম ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। লিটন দাস ২৩ রানে ফেরেন। তামিমের সঙ্গী হিসেবে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। এই জয়ের ফলে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয় করলো মাশরাফি বাহিনী। টাইগরাদের শিকার যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবীয়দের হয়ে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শাই হোপ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৮ রান করেন তিনি। এছাড়া উল্লেখ যোগ্য স্কোর কেউ গড়তে পারেননি। স্যামুয়েলস ১৯, কেমো পল ১২ এবং ব্রাভো ১০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। ১০ ওভার বোলিং করে ১ মেডেন ও ২৯ রানের বিনিময়ে চার ব্যাটসম্যানকে ফেরান তিনি। এছাড়া মাশরাফি ও সাকিব ২টি করে এবং সাইফউদ্দিন ১টি উইকেট নেন।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে দুটি পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের। ইমরুল কায়েসের বদলে এই ম্যাচে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। আর রুবেল হোসেনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন সাইফউদ্দিন। উইন্ডিজ দলে এসেছে একটি পরিবর্তন। ওশান থমাসের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। এই ম্যাচে জয় পেলেই টানা তৃতীয় সিরিজ জিতবে টাইগাররা।