আবারো সব প্রার্থীর ‘সমান সুযোগ’ চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সাথে বৈঠকে বসে ঐক্যফ্রন্ট।

ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোটের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে উপস্থিত আাছেন।

বৈঠকে আরো উপস্থিত আাছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, মির্জ আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চোধুরী, ড. জাফুরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাসহ অন্যান্য কমিশনাররা ও ইসি সচিব উপস্থিত আছেন।

জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যেসব নেতাকর্মী আটক হয়েছেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে তালিকা দেয়া হবে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এবং তারা এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন।

ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে আজ থেকে রাজধানীতে প্রচারে নামছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর গত ১৪ দিনে রাজধানীর অধিকাংশ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রচারে তেমন একটা দেখা যায়নি।

তবে শেষমুহূর্তে প্রতিটি আসনে ব্যাপক শোডাউনের পরিকল্পনা তাদের। টানা দুই দিনের প্রচারে অংশ নেবেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন ও মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা।

তারা রাজধানীর ১৫টিসহ ঢাকার ১৮টি আসনের ২৮টি স্পটে পথসভা ও জনসংযোগে অংশ নেবেন।

এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চায় ঐক্যফ্রন্ট। জনসভার অনুমতি পাবেন বলে আশা করছেন নেতারা। তবে অনুমতি না পেলে সেদিন গণমিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান নির্যাতন বন্ধ হবে। এতে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বিঘ্নে প্রচার চালানো যাবে। এ ধারণা থেকেই আজ থেকে দু’দিনের পথসভা ও জনসংযোগ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আর রাজধানীসহ সারা দেশ হচ্ছে ‘নির্যাতন কমিশন’। ধানের শীষের প্রার্থীরা ঠিকভাবে প্রচার চালাতে পারছে না। প্রার্থীর ওপর হামলা, দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে। ইসিতে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার নেই। শেষমুহূর্তে যতটা সম্ভব জনসংযোগের চেষ্টা করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here