আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) শনিবার (২২ ডিসেম্বর) ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে বড় ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। স্পষ্ট করেই বিসিসিআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আইসিসি-র কোষাগারে জমা করতে। না হলে এর ফল ভুগতে হবে ভারতীয় বোর্ডকে।
এমনকি, হাতছাড়া হতে পারে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগও। প্রসঙ্গত, এই দু’টি টুর্নামেন্ট ভারতের মাটিতে হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে কেন এমন হুমকি দিলো আইসিসি।
২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। যার ফলে, টুর্নামেন্টের টেলিভিশন স্বত্ব কিনেছিল যারা সেই স্টার স্পোর্টস আইসিসি-কে প্রদেয় আয়করের সম পরিমাণ অর্থ দিতে অসম্মত হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা বিসিসিআই-কে বেশ কয়েকবার এই অর্থ পুষিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো সত্বেও তারা কোনও কর্ণপাত করেনি। গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসি-র সভাতেও ফের একবার ভারতীয় বোর্ডের কাছে বিষটি উত্থাপন করা হয়। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় এবার একেবারে জোরালো হুমকি!
আইসিসি-র সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে আপাতত আসীণ এক ভারতীয়। তিনি- বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। কিন্তু, এই ইস্যুতে কোনও মতেই দেশীয় বোর্ড কর্তাদের ছেড়ে দিতে রাজি নন তিনি। আগামী বছর পাঁচেকের মধ্যে ভারত থেকে দু-দুটি মেগা ইভেন্ট ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশিই আইসিসি আরও একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে দিয়েছে।
বলা হয়েছে যে, এর পরেও ভারতীয় বোর্ড গড়িমসি করলে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চাহিদা মতো অর্থ তাদের কোষাগারে জমা না করলে চলতি অর্থবর্ষে বিসিসিআই-এর রাজস্ব বাবদ প্রাপ্য টাকা থেকে তা কেটে নেওয়া হবে। যা শুনে বোর্ডের এক প্রভাবশালী কর্তা মন্তব্য করেছেন, তেমন কিছু হলে তারাও আইসিসি-র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। সবমিলিয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তরে এখন কেমন যেন বারুদ- বারুদ গন্ধ!