যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্যান আন্তোনিওর একটি হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন একজন গর্ভবতী যিনি আসলে নারী নন। তার চিকিৎসা কীভাবে হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না খোদ চিকিৎসকরা। কারণ তারা কখনো এমন গভবর্তী দেখেননি। অভিনব এই মা ওয়াইলি সিম্পসন ছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। পরে লিঙ্গ পরিবর্তন করে হন পুরুষ। এর ছয় বছরের মধ্যে তার পেটে এসেছে বাচ্চা। বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না চিকিৎসকদের। ভিষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তারা। বাচ্চা প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে কি না, এই ‘পুরুষ মা’ কীভাবে সবকিছু সামলাবেন সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।

সিম্পসন এবং তার ২৭ বছর বয়সী বয়ফ্রেন্ড স্টিফেন গেথ তাদের এই দৈব গর্ভবতী হওয়ার অবিশ্বাস্য কাহিনি উই টিভির রিয়েলিটি শো ‘এক্সট্রিম লাভ’ এ বর্ণনা করেছেন। এই রিয়েলিটি শোটি বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে অস্বাভাবিক দম্পতির বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর দেয়। খবর ডেইলি মেইলের।

রিয়েলিটি শোয়ের ভিডিও ক্লিপে ওয়াইলি বলেন, ‘আমিই সম্ভবত প্রথম তৃতীয় লিঙ্গ থেকে পুরুষ হয়ে গর্ভবতী হয়েছি, সম্ভবত টেক্সাসে। আমাকে কীভাবে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে?’

ভিডিওতে দেখা গেছে, ওয়াইলি আলট্রাস্নোগ্রাফির জন্য বেড়ে শুয়ে রয়েছেন এবং তার বয়ফ্রেন্ড হাসিমুখে পাশে বসে রয়েছেন। আল্ট্রাস্নোগ্রাফির সময়ে গর্ভে থাকা বাচ্চার চেহারা মনিটরে ফুটে উঠছে। সে পৃথিবীর আলো দেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে তারা কারো পরামর্শ আগে গ্রহণ করেছেন কি না জানতে চাইলে ওয়াইলি বলেন, ‘এখনও নেইনি’।

২০১২ সালে লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য চিকিৎসা নেয়া শুরু করেন ওয়াইলি। ২০১৩ সালে তিনি পুরোপুরি পুরুষে পরিণত হন এবং একটি সমকামী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বয়ফেন্ড স্টিফেন গেথকে খুঁজে পান।

প্রচুর স্নায়ুবিক চাপ তৈরি হয়েছে এই দম্পতির ওপর। বাচ্চা জন্ম দেয়ার কোনো প্রস্তুতি নেই বলে জানিয়েছেন স্টিফেন। তারা তাদের প্রথম সন্তান জন্মদানের জন্য তেমন কোনও প্রস্তুতি এখনও নেননি। এছাড়া সন্তান জন্ম দেয়ার বিষয়টি ওয়াইলিকে ভাবিয়ে তুলেছে। তিনি বলেন, ‘আমি সন্তান প্রসবের বেদনার জন্য ভীত। আমি এর জন্য ঘুমাতেও পারছি না।’

সবশেষে ওয়াইলি জানান, ‘আপনি যেসব জিনিস প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে দেখতে পান এটি সেরকম কিছু নয়। কিন্তু আমরাও মানুষ এজন্য আমাদের সঠিক নামে ডাকা এবং সম্মান প্রাপ্য।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here