চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) আসরের প্রথম জয় পেতে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। ভাইকিংস দলপতি মুশফিকুর রহিমের আমন্ত্রণে এদিন প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড মালানের সর্বোচ্চ ৪৫ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের পুঁজি পেয়েছে রিয়াদ বাহিনী। ১৫২ রানের লক্ষ্যে এখন ব্যাট করতে নেমে চিটাগাংও একই স্কোর গড়তে সক্ষম হয়, ফলে বিপিএল দেখলো প্রথম বারের মত সুপার ওভার।

শেষ ওভারের নাটকঃ শেষ ২ ওভারে ২৩ রান দরকার ছিল ভাইকিংসদের। জুনায়েদ খান বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিলে ভাইকিংসদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায় সমীকরণ। কিন্তু শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসা আরিফুল হককে ছক্কা হাঁকিয়ে ভাইকিংসদের আশা দেখান নাঈম। যদিও ওভারের তৃতীয় বলে তাঁকে ফিরতে হয়ে সাজঘরে। তখনও ৩ বলে ১৩ রান প্রয়োজন ভাইকিংসদের। সেসময় পর পর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ নিয়ে আসেন ফ্রাইলিঙ্ক। শেষ বলে অবশ্য রান আউট হন এই ব্যাটসম্যান। ফলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে।

খুলনার ম্যাচে ফেরাঃ এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল সহজেই জয় তুলে নিবে খুলনা। কিন্তু বোলারদের নৈপুণ্যে ১৫ ওভারের পর ঠিকই ম্যাচে ফেরে ফিরে খুলনা। দলীয় ১১৯ এবং ১২১ রানে মুশফিকে এবং মোসাদ্দেক বিদায় নিলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।

মুশফিক-ইয়াসিরের জুটিঃ
 দুই উইকেট হারিয়ে বসা ভাইকিংসদের পক্ষে পরবর্তীতে হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিক এবং তরুণ ইয়াসির আলি চৌধুরী। দুজন মিলে দেখে শুনে খেল দলকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও দলীয় ৮৬ রানে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির, এর এক রান পরই বিদায় নেন রাজাও।

ডেলপোর্টের বিদায়ঃ শেহজাদকে শুরুতে হারালেও পাওয়ার প্লেতে ভালোই খেলেছেন ইয়াসির আলি এবং ক্যামেরন ডেলপোর্ট। তবে পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই ভুল করে বসেছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডেলপোর্ট। তাইজুল ইসলামকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ব্রাথওয়েটের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

জুনায়েদের প্রথমঃ আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বল হাতে খুলনাকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন পাকিস্তানী পেসার জুনায়েদ খান। চিটাগাংয়ের ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছেন এই পাকিস্তানী পেসার। আফগানিস্তানের বিধ্বংসী ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদকে ১০ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই পাকিস্তানী বোলার।

খুলনা টাইটান্স একাদশঃ পল স্টার্লিং, জুনায়েদ সিদ্দিকী, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), ডেভিড মালান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহীদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেট রক্ষক), আরিফুল হক, কার্লোস ব্রাথওয়েট, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, জুনায়েদ খান।

চিটাগাং ভাইকিংস একাদশঃ মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), আবু জায়েদ রাহি, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, রবার্ট ফাইলিঙ্ক, মোহাম্মদ শেহজাদ (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাঈম হাসান, সিকান্দার রাজা, সানজামুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, ইয়াসির আলি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

খুলনা টাইটান্স ১৫১/৬ (২০ ওভার) (রিয়াদ ৩৩ মালান ৪৫), (সানজামুল ২/৩৭)

চিটাগাং ভাইকিংসঃ ১৫১/৮ (২০ ওভার)

(মুশফিক ৩৪, ইয়াসির আলি ৪১), (ব্রাথওয়েট ২/৩০)

ফলাফলঃ সুপার ওভারে মধ্যমে জয়লাভ করলো চিটাগং

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here