সামনে রানের পাহাড়, জিততে হলে করতে হবে ১৮৫ রান। চলমান বিপিএলে এই বিশাল সংগ্রহ টপকানো যে বেশ কঠিন, গত কয়েকটি ম্যাচে সেটা ভালোভাবেই বোঝা গেছে। এই কঠিন কাজটাকে সহজ করে ফেললেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে চার উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কুমিল্লা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। এর জবাবে দুই বল হাতে রেখে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে চিটাগং।

মুশফিক অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে মূল ভূমিকা রাখেন। তিনি ৪১ বলে ৭৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। যাতে সাতটি চার ও চারটি ছক্কার মার রয়েছে। এর আগে ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ শেহজাদ ৪৬ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন।

তবে শেষদিকে দলকে একাই টেনে নেন মুশফিক। তাই বলাই যায়, এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছেই যেন হেরেছে তামিমের কুমিল্লা।

অবশ্য প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল কুমিল্লা। দলের ঝুলিতে কোনো রান যোগ না হতেই ওপেনার তামিম ইকবাল (০) সাজঘরে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান ওয়ান ডাউনে নামা এনামুল হকও (১০)।

এর পর এভিন লুইসকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বেশ খানিকটা এগিয়ে নেন দলকে। অবশ্য তিনি ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৩৮ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে যান এভিন। পরে দ্রুত আরো কয়েকটি উইকেট হারালে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা।

তবে ষষ্ঠ উইকেটে থিসারা পেরেরা ও সাইফউদ্দিন দারুণ দুটি ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে বড় স্কোর গড়ে দিতে মূল ভূমিকা রাখেন। পেরেরা মাত্র ২৬ বলে ৭৪ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন। যাতে তিনটি চার ও আটটি ছক্কার মার রয়েছে। আর সাইফউদ্দিন ১৯ বলে ২৬ রান করে তাঁকে যোগ্য সাপোর্ট দেন।

তরুণ পেসার খালেদ আহমেদ চার ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। আবু জায়েদ রাহি ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক একটি করে উইকেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি প্রতিপক্ষের বড় সংগ্রহের পথে বাধা হতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here