Saudi teenager Rahaf Mohammed al-Qunun (C, blue cap) is welcomed by Canadian Minister for Foreign Affairs Chrystia Freeland (R) as she arrives at Pearson International airport in Toronto, Ontario, on January 12, 2019. - The young Saudi woman who fled her family seeking asylum abroad is scheduled to land in Canada on Saturday after successfully harnessing the power of Twitter to stave off deportation from Thailand. Rahaf Mohammed al-Qunun, 18, was already en route to Toronto late Friday when Prime Minister Justin Trudeau announced that Canada would take her in. (Photo by Lars Hagberg / AFP)

কানাডায় পৌঁছেছেন পরিবার থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক বিমানবন্দরে অবস্থান নেয়া সৌদি তরুণী শরণার্থী হিসেবে। এর আগে ১৮ বছর বয়সী এ তরুণীকে আশ্রয় দিতে রাজি হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শনিবার সিউল হয়ে তিনি কানাডায় পৌঁছান। এ সময় তার মুখে আনন্দের চওড়া হাসি দেখা গেছে।

টরোন্টো নামার পরই কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড তাকে স্বাগত জানান। সাংবাদিকদের সামনে সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ মুতলাক আল-কুনুনকে দারুণ সাহসী এক কানাডীয় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন ফ্রিল্যান্ড।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি আর দীর্ঘ ভ্রমণে রাহাফ ক্লান্ত। সে এ মুহূর্তে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না। তবে রাহাফ ভালো আছেন। নতুন দেশ পেয়ে সে খুবই সুখী বলে জানান ফ্রিল্যান্ড।

রাহাফকে আশ্রয় দেয়ার কথা জানিয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, কানাডা বরাবরই দ্ব্যার্থহীনভাবে মানবাধিকার এবং বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার। জাতিসংঘ যখন আমাদের কাছে রাহাফ আল-কুনুনকে আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ করেছে তখন আমরা তাতে রাজি হয়েছি।

পরিবারের সঙ্গে কুয়েত ভ্রমণের সময় গত ৪ জানুয়ারি পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন রাহাফ। কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ব্যাংকক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তার অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট ধরার কথা ছিল।

কিন্তু ব্যাংকক বিমানবন্দরে সৌদি আরবের এক কূটনীতিক তার সঙ্গে দেখা করে তার পাসপোর্ট জব্দ করে বলে দাবি রাহাফের। পরে জোর করে কুয়েতে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে আশঙ্কায় নিজের অবস্থার কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here