মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানে আরাকান আর্মির ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন রাজ্যটি অবস্থিত। বাংলাদেশ সীমান্তঘেষা এ রাজ্যে সহিংসতা দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সেখানে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সঙ্গে আরাকান আর্মির মধ্যে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে।

আরাকানকে জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর জন্য অধিকতর স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে আন্দোলন করছে আরাকান আর্মি।

মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষ চরম আকারে। ২০১৭ সালে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির (আরসা) চালানো হামলায় নিহত হয়েছিলেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী।

আর এর বদলা নিতেই ওই বছরের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংস নির্যাতন শুরু করে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা।

এ নির্যাতনের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে সাত লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেন বাংলাদেশে। সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে জাতিনিধন, গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠনগুলো।

সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি রাখাইনে স্বাধীনতা দিবসে সহিংসতা হয়। ওই দিন ভোরের আগেই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বুথিডাং শহরে চারটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় জাতিগত রাখাইন বিদ্রোহীরা।

এতে ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। আহত হয়েছেন ৯ জন। পরে সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এজেন্সি বলেছে, গত কয়েক সপ্তাহের সহিংসতায় প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে রাখাইনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here