থাইল্যান্ডের পাতায়া। রাতের পাতায়া হলে তো কথাই নেই। সেখানে নানা রঙের আলোর ঝলকানিতে যে কত রকমের মানুষের জমায়েত তার কোনো ইয়ত্তাই নেই। এখানে ওখানে দেহপসারিণীদের বিকিকিনি। বারে বারে নাচছে নতর্কী। নানা রকম উৎসব। আর রাস্তায় দাঁড়ানো যৌনকর্মী। তাদের অনেকেই নিতান্ত যৌনকর্মী।

আবার অনেকে আছেন, যারা যৌনকর্মীর আড়ালে বড় কোনো চুরির ফাঁদ পাতেন। তেমনই একজন নারী কাম পাখাম (৪৮)। এক রাতে তিনি পাতায়ার রাস্তায় অপেক্ষায় ছিলেন খদ্দের ধরার জন্য। একটি হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে এমন প্রস্তাব দিয়ে পেয়ে গেলেন বৃটিশ ডানিয়েল বুথ (২৭)কে। তারপর দু’জনে ফিরে গেলেন হোটেলে। যা হবার তাই হলো। উদ্দামতায় মেতে উঠলেন দু’জনেই। ঘুমিয়ে পড়লেন ডানিয়েল। ততক্ষণে সর্বনাশটা যে হয়ে গেছে তা টের পেলেন ঘুম থেকে উঠে। চোখ খুলেই দেখতে পান তার ঘড়ি আর মোবাইল নেই। নেই কাম পাখামও। বুঝে গেলেন ঘটনা। তিনি পুলিশে খবর দিলেন। তাদেরকে জানালেন শনিবার রাতে এক থাই নারীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। বলেছেন, ওই নারী তাকে দু’বার পানীয় পরিবেশন করেছেন। এরপর তিনি অচেতন হয়ে গেছেন। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। তাতে রাস্তায় সন্দেহজনকভাবে হাঁটতে দেখা যায় পাখামকে। এক পর্যায়ে তার হদিস পায় পুলিশ। তার কাছাকাছি যেতেই পাখাম পালিয়ে যান। তিন দিন পরে তাকে সোই বুখাওয়ের একটি বারের বাইরে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন পাখাম অন্য ধনী বিদেশী খদ্দের ধরার চেষ্টা করছিলেন।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদে পাখাম পুলিশকে বলেছেন, তিনি খদ্দের বাছাই করেন দেখেশুনে। যেসব বিদেশীর গলায় স্বর্ণের চেইন দেখতে পান, হাতে আছে দামী ঘড়ি তাদেরকে যৌনতা প্রস্তাব করেন। তার ভাষায়, আমি এই কাজ এ পর্যন্ত তিন-চারবার করেছি। আমি পুরুষদের বাছাই করি দামী জিনিস দেখে। তাদের সঙ্গে রুমে মেতে উঠি। তারপর পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে দিই ঘুমের ওষুধ। তারা ঘুমিয়ে গেলে ঘড়ি, মোবাইল ফোন আর নগদ অর্থ চুরি করি।
তার এ স্বীকারোক্তির পর তদন্তকারীরা কাম পাখামের রুমে তল্লাশি চালিয়েছেন। এ সময় তারা কমপক্ষে ১০ট বিলাসি দামী ঘড়ি ও স্মার্টফোন উদ্ধার করেছেন। এমন চুরির জন্য তার ২০০০০ থেকে ১০০০০০ থাই বাথ জরিমানা হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here