তীব্র তাপদাহে পুড়ছে গোটা অস্ট্রেলিয়া, অন্যদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিপর্যস্ত আমেরিকা। ইতিমধ্যে শীতে আমেরিকায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ থেকে অস্ট্রেলিয়ার তাপমাত্রা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। দেখা নেই কোন বৃষ্টিপাতের।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি দেশটির দক্ষিণ এডিলেড নগরবাসী সর্বোচ্চ ৪৬.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দিন অতিবাহিত করেছে।

তীব্র তাপদাহে অস্ট্রেলিয়ায় পশুপাখি ও হাজার হাজার মাছ মারা যাচ্ছে। এছাড়া দেশটির জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কৃষিকাজে ফসল উৎপাদনে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে কৃষকেরা। এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরগুলো তীব্র শীতে পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে পাঁচটি রাজ্যে।

হিমাঙ্কের প্রায় ৬০ ডিগ্রি নীচে বেশ কয়েকটি জায়গার তাপমাত্রা। মিনেসোটার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হিমাঙ্কের চেয়ে ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত নীচে নামতে পারে এই স্টেটের তাপমাত্রা। ১৮০০ সালের পর চলতি বছরই এরকম ঠান্ডা পড়েছে মিনেসোটায়।

ওয়াশিংটনে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের প্রায় ৪ ডিগ্রি নীচে। শিকাগোতে বর্তমান তাপমাত্রা মাইনাস ২৩ ডিগ্রি, ডেট্রয়েটেও তা হিমাঙ্কের প্রায় ২৮ ডিগ্রি নীচে। নিউ ইয়র্ক গড় তাপমাত্রা শূ্ন্য ডিগ্রি।

নায়াগ্রা, ওরলিয়ান্স কাউন্টি ও বাফালো, টরন্টোতে তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস ১৪ ডিগ্রি। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে বাসিন্দাদের জন্য সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে এসব স্টেটে।

নর্থ ডাকোটা রাজ্যের গ্রান্ডফর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে ঘণ তুষারপাত ও কুয়াশার কারণে। এছাড়াও দেশজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে প্রায় ২৭০০ বিমাননের ফ্লাইট ও ট্রেন যাত্রা। তাপমাত্রা নেমে এসেছে প্রায় মাইনাস ১৩ ডিগ্রির আশেপাশে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিউ ইংল্যান্ডেও বেশ কিছু মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। পুরো দেশজুড়ে ৯ কোটিরও বেশি মানুষ রয়েছেন শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রারও নীচে। প্রশাসন তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও তৎপরতার সঙ্গে নজর রাখছেন আমেরিকার সর্বত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here