সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরের সোনিয়া খাতুন আম্বিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে স্বামী। তার স্বামী একই জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের ঘোড়শাল মোল্লাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আকন্দ (৪০)। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার পিতার বাড়ি তাড়াশ উপজেলা সদরে দাফন করা হয়েছে।

নিহত বাবা শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামীর পরকিয়ায় বাঁধা দেয়ায় তার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।

শাহ আলম সরকার আরও জানান, গত আট বছর আগে সৌদি ফেরত আবুল কালাম আকন্দর সাথে তার মেয়ে সোনিয়া খাতুন আম্বিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সোহান (৪) নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সে কোন কাজ কর্ম না করে ঘুরে বেড়ায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হয়। সম্প্রতি সে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়লে তাদের মধ্যে নতুন করে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। ফলে সোনিয়াকে গত ১ মাস ধরে তার বাবা-মায়ের সাথে ফোনে কথা বলা ও বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

এর এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর এটাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। খবর পেয়ে নিহত সোনিয়ার বাবার বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়িসহ অন্যান্যরা বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খাজা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘নিহত সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটাকে আত্মহত্যা বলে দাবী করলেও সোনিয়ার বাবা-মা এটাকে পরিকল্পিত হত্যা দাবী করছে। তাই এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নির্ধারণে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here