মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বাবার ভাস্কর্য স্থাপনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সংখ্যালঘু কারেনি নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। আন্দোলনকারীদের এক নেতা এ কথা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য রাজ্য কায়ার রাজধানী লোইকোতে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, কারেনি গোষ্ঠীর সদস্যরা লোইকোতে মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা জেনারেল অং সানের (সু চির বাবা) একটি ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ করে। সংগঠকরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও জাতীয় ছুটির দিন ‘সংযুক্ত দিবসে’ অন্তত তিন হাজার লোক লোইকোর সমাবেশে অংশ নেয়। একটি ঘোড়ার ওপর বসা সোনায় মোড়ানো জেনারেলের মূর্তিটি চলতি মাসেই উদ্বোধন করার কথা। গত বছরের মাঝামাঝি রাজ্য কর্মকর্তারা এই মূর্তি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদে নামে স্থানীয়রা।

মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনেও প্রায় দুই ডজন আন্দোলনকারী জেনারেল অং সানের মূর্তির বিরোধিতা করে ও লোইকোর প্রতিবাদকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। নগরীর স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভের কাছে আয়োজিত এই বিক্ষোভকারীদের হাতে ধরা ফেস্টুনে লেখা ছিল- ‘আর কোনো মূর্তি নয়-আমাদের খাবার দাও’।

কারেনি রাজ্য যুব বাহিনীর নেতা খুন টমাস সমাবেশে বলেছেন, আমরা জেনারেলের মূর্তির বিরোধিতা করছি না, আগে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হোক, এটাই আমাদের দাবি। প্রতিবাদ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের নেওয়া উদ্যোগে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুন টমাস। ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েছিল বলে দাবি করেছেন পুলিশ প্রধান উয়িন হতাই। ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সমঝোতার মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ শেষ হয়। দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা চলাকালীন প্রতিবাদ স্থগিত রাখা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here