ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কোনও ছবির সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানে, ছবির নির্মাতারা মোটামুটি নিশ্চিন্ত। ছবির অনেক দায়িত্ব অভিনেত্রী নিজেই কাঁধে তুলে নেন। কিন্তু সব সময়ে যে এমনটা ঘটবে, তা তো নয়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যদি অগ্নিশর্মা হন, তাহলে কী হতে পারে, সেটা ‘মুখার্জীদার বউ’-এর সেটের সকলে বেশ বুঝেছিলেন। রাগের মাথায় অভিনেত্রী সটান সেট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন! তার আগে পরিচালকের সঙ্গে একচোট কথা কাটাকাটি।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ‘মুখার্জীদার বউ’-এর পরিচালক পৃথা চক্রবর্তীর এটি প্রথম ছবি। সেখানে ঋতুপর্ণার মতো এক জন স্টারকে সামলানো সহজ কথা নয়। শোনা যাচ্ছে, শুটিংয়ের সময়ে ছবিতে তার চরিত্রের পরিসর এবং সংলাপ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। পরিচালক তা মানতে চাননি। ফলস্বরূপ অভিনেত্রী বেশ চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। শেষ পর্যন্ত সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে ছবির প্রযোজক নন্দিতা রায়ের অনুরোধে তিনি শুটিংয়ে ফেরেন।এ প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, পরিচালক হিসেবে পৃথা ওর আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছিল। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার উপর বেশি নির্ভর করছিল।’ কিন্তু প্রযোজক শিবপ্রসাদ-নন্দিতা সাধারণত পরিচালকের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান না বলেই শোনা যায়।

ঋতুপর্ণার কথায়, ‘আমি কিছু সাজেশন দিয়েছিলাম। এত দিনের অভিজ্ঞতায় কোনটা করা উচিত আর কোনটা নয়, তা বুঝে সেই জায়গা থেকেই বলেছিলাম। কিন্তু শিবু ফোন করে বলতে থাকে স্ক্রিপ্টের মতো চলতে হবে। তখনই একটু রাগারাগি হয়!’ অভিনেত্রী জানালেন, পরে তার দাবি মেনেই শুটিং করা হয়।
সাধারণত যে কোনও ছবিতেই ঋতুপর্ণা মলাট চরিত্রে থাকেন। কিন্তু এখানে তা নয়। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়-অনসূয়া মজুমদার প্রধান। ঋতুপর্ণা নিজেই বলছেন, ‘আমার চরিত্রটি ক্যাটালিস্টের মতো। ‘ডিয়ার জিন্দেগি’তে শাহরুখ খানের চরিত্রটার মতো বলতে পারেন। এটি বিষয়ভিত্তিক ছবি।’

ঋতুপর্ণা মূলত শিবপ্রসাদের কথাতেই ছবিটি করতে রাজি হন। মানলেনও সে কথা। ‘শিবুর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অন্য রকমের। ওকে আমিই প্রথম সুযোগ দিয়েছিলাম। কিছু দিন আগেই ‘বেলাশুরু’তে কাজ করলাম। এই ছবিটা করতে বলায় রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। তবে বারবার এই ধরনের ছবি করতে বললে হয়তো করব না!’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here