পুরাতন ঢাকাকে কিভাবে নিরাপদ করা যায় সে বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের জবাব সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, চকবাজারের ঘটনায় অবহেলার জন্য খুনের অপরাধে দায়ি হবে সরকার। মঙ্গলবার বিকালে গণফোরামের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক নাগরিক শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, আজ থেকে নয় বছর আগে পুরান ঢাকাকে কিভাবে নিরাপদ করা এবং সাজানো যায় সে বিষয়ে হাইকোর্ট একটি আদেশ দিয়েছিলেন। আজ হাইকোর্ট আবার একই আদেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে সরকার কথায় কথায় বলেÑসবকিছু রাতারাতি করা সম্ভব নয়। আমি এখন সরকারের কাছে জানতে চাই নয় বছর তো রাতারাতি সময় নয়। পুরো সময় একই সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।

তারা এই নয় বছরে পুরাতন ঢাকাকে নিরাপদ করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে? তিনি বলেন, চকবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে নয় বছর আগে নিমতলীতে একই ঘটনা ঘটেছিল। ১২৪ জন মারা গিয়েছিল। চকবাজার থেকে নিমতলী খুব কাছে। কিন্তু এই নয় বছরে ওই এলাকায় কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সরকারের কাছে তথ্য চাই। জনগণও তথ্য চায়। এসময় তিনি বলেন, চকবাজারের ঘটনায় অবহেলার জন্য খুনের অপরাধে দায়ি হবে সরকার।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়। তারা মানুষের অধিকার হরণ করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাই জনগণের অধিকারের কোনো মূল্য তাদের কাছে নেই। এই কারণেই আদালতের আদেশের পরও গত নয় বছরে নিমতলী আগুনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বাস্তবায়ন হয়নি। এসময় ড. কামাল বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা পদক্ষেপ নিতে পারি। আসুন নিরাপদ দেশ গড়ার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা সবাই মিলে একটা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ি। যেখানে সবাই নিরাপদে থাকব। একই সঙ্গে পুরাতন ঢাকাকে পুনঃনির্মাণের দাবি জানাই। যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদের সঞ্চালনায় নাগরিক শোক সভায় আরো বক্তব্য দেনÑ জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের নেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ,  আমআস আমিন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ একাংশের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহমেদ বাদল প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here