ফারজানা কাজী
‘আপনি বিয়া করার লেইগা এমন পাগল ক্যান?’ খুশিতে, ঠেলায়, ভাল্লাগে? না, এইটা তার উত্তর ছিলো না। তার উত্তর ছিলো, ‘বিয়ে করা ফরজ।’ ‘খাড়ান, হাইসা লই। আমার হাসির মইধ্যেই প্রশ্নকর্ত্রী আবার প্রশ্ন করলেন ‘ফরজ কাম তো আরও আছে, সেইগুলো ফালায়া বিয়া ক্যান?’ যারে প্রশ্ন করা হইসিলো, তিনি চুপ। বিয়া করা ফরজ না সুন্নত সেই কথায় না যাই, বিয়া করা ‘প্রয়োজন’। আমাদের দেশের মেয়েদের জন্য বিয়া ছাড়া আর কোনো উপায় তো নাই।
এই দেশের অবিবাহিত মেয়েরা যৌনতা চাইলে বিয়া করতেই হবে। যেই দেশে প্রকাশ্যে চুমু তো দূরের কথা, সৌজন্য-আলিঙ্গনটুকুও করা যায় না (কিন্তু ধর্ষণ করা যায়, রাস্তায় দাঁড়াইয়া হিসু করা যায়), একটা মেয়ের প্রেমে পড়ার কথাই যেইখানে পরিবার মানতে পারে না, সেই দেশে একজন নারী বিয়া ছাড়াই কেমনে যৌনতার কথা চিন্তা করবেন? যৌনতা কোনো নোংরামি না, যদি উভয়ই রাজি থাকেন। বরং যৌনতা চাহিদা, যৌনতা প্রয়োজন।
সব প্রাণীর যেমন খিদা পায়, তেমন যৌনতাও পায়। এই বোধটুকুও বাঙালির নাই। কিন্তু বিয়া নিয়া খুব উত্তেজিত তেনারা। দুইটা নারী-পুরুষরে বিয়া দিয়া যৌনতার জন্যই দরজা বন্ধ কইরা দেয় এই বাঙালিরাই। আজব না? তাই একজন নারীর বিয়া করা এই দেশে অবশ্যই দরকার। বিয়া নিয়া আমার কোনো মাথাব্যথা নাই। আমার মনে হয়, ভালোবাসা থাকলে একটা মানুষের সাথে আজীবন কাটানো যায়। সামনে বিয়ার মাস আসতেছে। অনেকেই বিয়া করতে যাইতেছেন। সবাইর জন্যই শুভকামনা থাকলো।