কোরাম সংকটে দশম সংসদে ক্ষতি ১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা

0
72

বাংলা খবর ডেস্ক: জাতীয় সংসদে কোরাম সংকট নতুন কিছু নয়। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলেই আসছে, রোধ করা যাচ্ছে না। গত দশম জাতীয় সংসদের কোরাম সংকটের কারণে ১৯৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় অপচয় হয়েছে। এই সময়ের অর্থমূল্য ১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩ টাকা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডির টিআইবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

দশম জাতীয় সংসদের প্রথম থেকে ২৩তম অধিবেশনের (জানুয়ারি ২০১৪ থেকে অক্টোবর ২০১৮) ওপর ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ২৩টি অধিবেশনের মধ্যে কোরাম সংকটের কারণে ব্যয় হওয়া সময় মোট সময়ের ১২ শতাংশ। ২৩টি অধিবেশনে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ২৮ মিনিট অপচয় হয়েছে কোরাম সংকটের কারণে।

প্রতি কার্যদিবসে গড় কোরাম সংকট আগের সংসদের তুলনায় কিছুটা কমেছে। অষ্টম সংসদে প্রতি কার্যদিবসে কোরাম সংকটের কারণে অপচয় হয় ৩৭ মিনিট, নবম সংসদে ৩২ মিনিট ও দশম সংসদে অপচয় হয়েছে ২৮ মিনিট।

প্রসঙ্গত, সংসদীয় বিধি অনুযায়ী, জাতীয় সংসদে ন্যূনতম ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম গঠিত হয়। কোরাম গঠিত হলেই অধিবেশন শুরু হয়। আর ৬০ জন সদস্য উপস্থিত না থাকলে কোরাম সংকট হয়। কোরাম সংকট হলে অধিবেশন শুরু করা যায় না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না থাকায় ১০ম সংসদ অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন হয়নি। একচ্ছত্র ক্ষমতার চর্চা বৃদ্ধি পেয়েছে। কার্যকর বিরোধী দল ও স্পিকারের জোরালো ভূমিকার ঘাটতির ফলে সংসদ প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর ছিলো না

আরও জানানো হয়, ১ম সংসদে ব্যসায়ী ছিলো ১৭.৫, বর্তমানে দশম সংসদে ৫৯ শতাংশ। আইনজীবী ৩২ শতাংশ ছিলো, এখন ১৩ শতাংশ। যা আইন প্রনয়নে সদস্যদের অংশগ্রহণ কমার কারণ।

গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, টিআইবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সুলতানা কামালসহ কর্মকর্তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here