পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত হন ভারতীয় ৪০ জওয়ান। এ জঙ্গি হামলায় স্বামী মারা গিয়েছেন দু’সপ্তাহ হয়েছে মাত্র। তার রেশ কাটতে না কাটতেই নিহতের স্ত্রীকে দেবরের সঙ্গে বিয়ের চাপ দিচ্ছে নিহতদের পরিবার।
জানা যায়, নিহত জওয়ান এইচ গুরুর স্ত্রী কলাবতীকে তার দেবরের সাথে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে তার শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা। কারণ ক্ষতিপূরণের টাকা যেন বাইরে না যায় তাই তো দেবরকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে তাকে।
এ চাপে পরে গত বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কর্ণাটকের মান্ড্য থানায় এই অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, পুলিশের কাছে তরুণী অভিযোগ করেছেন, স্বামীর মৃত্যুতে পাওয়া ক্ষতিপূরণ যাতে বাড়ির বাইরে না যায়, তার জন্য শ্বশুরবাড়ির সকলে দেবরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪৪ জন সিআরপি জওয়ানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রায় দশ মাস আগে কলাবতীর সাথে বিয়ে হয় গুরুর। কিছু দিন বাড়িতে ছুটি কাটানোর পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাজে যোগ দেয়ার পরেই আসে হামলায় নিহতে খবর। কলাবতীর দেবর তার সমবয়সী।
এদিকে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে একাধিক সংগঠন। গুরুর পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। সেই সঙ্গে কলাবতীকে সরকারি চাকরি দেয়া হবে। এ ছাড়াও একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা নিহত জওয়ানদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছে। আরও বেশ কিছু বেসরকারি সংগঠন সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার ও সিআরপিএফের দেওয়া ক্ষতিপূরণ তো মিলবেই।
প্রয়াত কন্নড় নেতা-অভিনেতা অম্বরীশের স্ত্রী সুমালতা, গুরুর স্ত্রীকে দেড় বিঘা জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে কলাবতী এখন বিপুল সম্পদের মালিক।
মান্ড্য পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। গুরুর পরিবারকে সে বিষয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ।