রাশিয়ার কাছ থেকে বড় অংকের অর্থের অস্ত্র কিনে থাকে ভারত। কিন্তু ২০১৪-১৮ এবং ২০০৯-১৩ সময়কালে এর পরিমাণ কমেছে শতকরা ৪২ ভাগ। অর্থাৎ রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত শতকরা ৪২ ভাগ অস্ত্র কেনা কমিয়ে দিয়েছে। স্কটহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্স ইন্সটিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত এক রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। এসআইপিআরআই এ নিয়ে ‘ট্রেন্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল আর্মস ট্রান্সফারস, ২০১৮’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৪-২০১৮ সময়কালে ভারতে রাশিয়া মোট শতকরা ৫৮ ভাগ অস্ত্র বিক্রি করেছে। ২০০৯-২০১৩ সময়কালে এর পরিমাণ ছিল শতকরা ৭৬ ভাগ।
এসআইপিআরআই তার রিপোর্টে বলেছে, বৈদেশিক অস্ত্রের ওপর তার দেশের নির্ভরতা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর অংশ হিসেবে ২০০৯-২০১৩ সময়কালে এবং ২০১৪-২০১৮ সময়কালে ভারতে অস্ত্র আমদানি কমেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক সরবরাহকারীরা অস্ত্র সরবারাহ দেয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করে। এ কারণেও ভারতের অস্ত্র আমদানি কমে গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে। রাশিয়া থেকে যুদ্ধবিমান কেনার অর্ডার দিয়েছিল ভারত ২০০১ সালে। অন্যদিকে ২০০৮ সালে ফ্রান্স থেকে সাবমেরিন কেনার অর্ডার দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও ২০১৪-১৮ সময়কালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ পরিমাণে অস্ত্রের ক্রেতা ভারত। বিশ্বে মোট যে পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি হয় তার মধ্যে শতকরা ৯.৫ ভাগ কেনে ভারত। অন্যদিকে ২০১৪-১৮ সময়কালে ভারতে অস্ত্র রপ্তানি বৃদ্ধি করেছে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
অন্যদিকে ২০০৯-১৩ এবং ২০১৪-১৮ সময়কালে পাকিস্তানেও অস্ত্র আমদানি কমেছে শতকরা ৩৯ ভাগ। ২০০৯-১৩ ও ২০১৪-১৮ সময়কালের মধ্যে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র রপ্তানি কমেছে শতকরা ৮১ ভাগ। তবে তারা অস্ত্র কেনার জন্য অন্যদেশের ওপর ধরনা দিয়েছে। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, পাকিস্তান ২০১৮ সালে তুরস্ক থেকে ৪টি ফ্রিগেট ও সামরিক ৩০টি হেলিকপ্টার কেনার অর্ডার দিয়েছে।
২০১৪-১৮ সময়কালে বিশ্বে সবচেয়ে বড় ৫টি অস্ত্র রপ্তানিকারক হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও চীন। সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে সৌদি আরব, ভারত, মিশর, অস্ট্রেলিয়া ও আলজেরিয়া।
২০১৪-১৮ এবং ২০০৯-১৩ সময়কালে অস্ত্র রপ্তােিন শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই দুটি সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরণের অস্ত্রের রপ্তানি বৃদ্ধি পায় শতকরা ২৯ ভাগ। এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র বিক্রিতে ব্যবধান অনেক বেশি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here