সুন্দর, সাবলীল ও সহজবোধ্য ভাষায় সংসদে উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। বাজট যাদের জন্য, তারা যেনো যথাযথভাবে বুঝতে পারেন। ছোট ছোট কথায় ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাজেট পেশ করা হবে। এটাই হবে এবারের বাজেটের নতুনত্ব। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
গত রোববার থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে প্রাক-বাজট আলোচনা হয়। অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদসহ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ, বাংলাদেশ জুট গুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এতে অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন ভ্যাট আইন আগামী ১ জুলাই থেকেই কার্য়কর হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেট হচ্ছে দারিদ্র বিমোচনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, এবং বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়ে। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনিকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজনকে চাকরি দেয়া হবে।
বাজেটে নতুনত্বের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের যে বাজেট, তা কী আপনারা বোঝেন ? আমি নিজেই বুঝি না। বাজেটের ভাষা হবে সহজ, বক্তব্য হবে সংক্ষিপ্ত। দুটি বিষয়ে আগামী বাজেটে জোর দেয়া হবে। প্রথমত, গ্রাম হবে শহর, দ্বিতীয়ত, যুব সমাজকে প্রকৃত অর্থনীতিতে যুক্ত করা হবে। তাদের শিক্ষিত করার পাশাপাশি তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। আর ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার কথা থাকলেও হয়ে যাচ্ছে, ১২০ থেকে ১৩০টি। এগুলো হলে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে হবে না। এসময় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম।