নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে হামলায় ৫ বাংলাদেশি নিখাঁজ রয়েছেন, এ রা হলেন-ওমর ফারুক, মোয়াজ্জেম, মোজাম্মেল হক, শাওন ও জাকারিয়া।

নিউজিল্যান্ডে এ হামলায়  ৪৯ জনকে হত্যার প্রধান অভিযুক্ত ব্রেনটন টেরেন্টকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে একটি হত্যাকান্ডের অভিযোগ। শনিবার আদালতে হাজির করার সময় তার পরনে ছিল কয়েদিদের জন্য নির্ধারিত সাদা শার্ট। হাতে ছিল হ্যান্ডকাপ।

এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলেছে, তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেনটন টেরেন্ট বাদেও আরও দু’জন সন্দেহভাজন হামলাকারী রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন শুক্রবারের ওই হামলাকে উগ্র-সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর বলা হয়েছে প্রধান সন্দেহভাজন এই হামলাকারী যে অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে তা ছিল বৈধ, অর্থাৎ লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। আরডেন আরো বলেছেন, যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই।

শুক্রবারের হামলার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম দাউদ নবী নামে একজনের নাম প্রকাশ করেছে তার পরিবার। ৭১ বছর বয়সী নবী ১৯৮০ সালে আফগানিস্তান থেকে নিউজিল্যান্ডে যান। হতাহত অন্যদের নাম প্রকাশ করা হয় নি। শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে জুমার নামাজরত শত শত মুসুল্লির ওপর ওই হামলা চালায় সশস্ত্র বন্দুকধারী। এতে কয়েকজন জড়িত বলে বলা হয়। হামলায় আহত হয়েছেন ৪৮ জন। তার মধ্যে দুই বছর বয়সী এবং ১৩ বছর বয়সী দুটি শিশুও রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া এরই মধ্যে জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে এসব দেশের নাগরিকও রয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চে ব্যাপক নিরাপত্তা বিরাজ করছে এবং দেশজুড়ে সকল মসজিদ বন্ধ রয়েছে।

হামলাকারী সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন বলেছেন, মসজিদে হামলার এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তির পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি লাইসেন্স ছিল। শনিবার তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশটির অস্ত্র আইন বদলানো হবে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারীর বন্দুকের লাইসেন্স ছিল এবং সেটি ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরডেন বলেছেন, প্রধান সন্দেহভাজন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করেছে এবং নিউজিল্যান্ডে বিক্ষিপ্ত সময় অতিবাহিত করেছে। তার ভাষায়Ñ তাকে আমি দীর্ঘকালীন বাসিন্দা বলবো না। হামলাকারীর বন্দুক লাইসেন্সে ছিল । আমাকে জানানো হয়েছে সেটি ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে নেয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে গোয়েন্দা সংস্থা উগ্র চরমপন্থিদের বিষয়ে তদন্ত করছে। কিন্তু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি চরমপন্থার জন্য গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের কিংবা পুলিশ কারও নজরেই আসেনি। ওই ব্যক্তি ২০১৭ সালে ইউরোপ ভ্রমণের পর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করছিল এবং সেখানকার ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here