বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, লড়াই হবে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার, লুটেরা যারা ব্যাংককে ফাঁকা করেছে, যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই লড়াই বেগম জিয়া, শহীদ জিয়া, সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আসুন আমরা সবাই এক হই। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাই। পতন ঘটানোর জন্য প্রথম কাজ বেগম জিয়াকে মুক্ত করা। আর দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে অপশাসনকে উচ্ছেদ করা। তাহলে দেশে গণতন্ত্র ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশে একদিন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এখন তার লেশমাত্র নাই। সেই গৌরবময় ইতিহাস ফিরিয়ে আনার জন্য এখানে যারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আমরা আছি, ছাত্রসমাজ, এ দেশের যুবসমাজ, মেহনতী, শ্রমিক-কৃষক সকলেই তাদের সাথে আছে।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘লড়াই একটা হবে, দিন তারিখ দিয়ে নয়। লড়াই হবে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার, লুটেরা যারা ব্যাংককে ফাঁকা করেছে, যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই লড়াই বেগম জিয়া, শহীদ জিয়া, সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই।’
অপশাসনকে রোধ করতে বেগম জিয়াকে আগে মুক্ত করতে হবে- মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করে আনার অর্থই হচ্ছে অপশাসনকে রোধ করা। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে সম্মানিত করা। এই গোলামির জিঞ্জির ভেঙে ফেলার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি সম্মান করা।’
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আবুল হোসেনর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।