বিশ্বজুড়ে এখন আলোচনায় উইল কনোলি। নিজের নামের থেকে সে এখন এগবয় বা ডিমবালক হিসেবেই বেশি পরিচিত। বর্ণবাদী মন্তব্যের পর অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর ফ্রেসার অ্যানিং-এর মাথায় ডিম ফাটিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল উইল। আর এতেই রীতিমতো বীর উপাধি পেয়ে গেছে সে।

ডিমবালকের বীরত্বে মুগ্ধ সেদেশের তরুণীরাও। শুধু বীরত্বেই নয়, অস্ট্রেলিয়ান তরুণীরা বলছেন তার মনটাও অনেক ভালো বলেই এমন সাহসী প্রতিবাদ করতে পেরেছে ডিমবালক। তবে সবাই শুধু ডিমবালকের প্রশংসাই করছেন না, দিচ্ছেন বিয়ের প্রস্তাবও। সিনেটর ফ্রেসারের পদত্যাগ দাবিতে ক্যানবেরার রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ   বিক্ষোভে নামেন।

সেখানে থাকা কিছু তরুণীকে দেখা যায়, মেরি মি এগবয় সংবলিত প্ল্যাকার্ড। তারা ওই ডিমবালককে বিয়ের প্রস্তাব দেন এভাবেই। কেউ কেউ চিৎকার করে বলছিল, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই ডিমবালক। আরেকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা হয়, বর্ণবাদী মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর মাধ্যমেই ডিমবালক সত্যিকারের পুরুষে পরিণত হয়েছে।

এর আগে ফ্রেসার অ্যানিং নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার জন্য মুসলিম অভিবাসীদেরকেই দায়ী করেন। তার এ মন্তব্যকে তীব্র বর্ণবাদমূলক আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। একই সঙ্গে তার পদত্যাগ দাবি করে তৈরি এক পিটিশনে ইতিমধ্যে স্বাক্ষর করেছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। বিক্ষোভে মুসলিমদেরকে সাহায্য ও সমর্থনের আশ্বাসও দেয় সাধারণ অস্ট্রেলীয় নাগরিকরা। মুসলিমদের উদ্দেশে তারা সেøাগান দেয়, কোনো ভয় বা বর্ণবাদের স্থান এখানে নেই, অভিবাসীদেরকে এদেশে স্বাগতম। পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা ফ্রেসারের পদত্যাগ দাবি করে সেøাগান দিতে থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here