আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স চান, নাসা আগামী ৫ বছরের মধ্যে আবারো চাঁদে নভোচারী পাঠাবে। অ্যালাবামার হান্টসভিলের ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের সভায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে চাঁদে মার্কিন নভোচারী পাঠানোর বিষয়টি বর্তমান প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতির মধ্যেই রয়েছে। বিবিসি বাংলা।

তিনি বলেন, বিশ শতকে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদে পৌঁছতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তেমনই একুশ শতকে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর ক্ষেত্রেও আমরাই হবো প্রথম জাতি। চাঁদে মার্কিন নভোচারীদের স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠার পর পরের গন্তব্য হবে মঙ্গল গ্রহ।

নাসা এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে লক্ষ্যবস্তু করবে, যেটি স্থায়ী অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি চ্যালেঞ্জিং অংশ। ওই অংশটি জমাট পানি বা বরফের একটি আধার, যাকে মহাকাশযানের জন্যে জ্বালানিতে রূপান্তর করতে চায় নাসা।

১৯৬৯ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করা প্রথম মানব নীল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন,‘এটা মানুষের জন্য ক্ষুদ্র পদক্ষেপ কিন্তু মানবজাতির জন্য বিশাল এক যাত্রা’। মি. পেন্স বলেন, পরবর্তী বিশাল পদক্ষেপের এখনই সময়।

ইউএস স্পেস এজেন্সির পরিচালক জিম ব্রাইডেনস্টাইন টুইট করে জানান, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হলো। এখন কাজ শুরুর পালা।

প্রথমে চাঁদের কক্ষপথের কাছে ২০২৪ সালের মধ্যে গেটওয়ে নামে একটি স্পেস স্টেশন বানানো হবে, এরপর ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে নভোচারী পাঠানো হবে চাঁদে- নাসার পরিকল্পনা ছিল এমনটাই।
মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর নাসার পরিচালক বলেন, তিনি নিশ্চিত ছিলেন, নাসা আগামী বছরের মধ্যে একটি সফল এসএলএস উৎক্ষেপণ করতে পারবে।

মাইক পেন্স কেবল ঘোষণা দিয়েছেন তা নয়, তিনি হুমকিও দিয়েছেন যে, যদি নাসা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হতে না পারে, তবে বাণিজ্যিক লঞ্চিং সিস্টেম বা অন্য কোনও সহযোগী সন্ধান করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here