বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ১ মে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এই সিরিজ শেষ হলেই বিশ্বকাপ মিশনে নামবে টাইগাররা। তাই সিরিজ ও বিশ্বকাপের মাঝে ৬ দিনের বিশ্রাম চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিলো মাশরাফিরা। কিন্তু তা আদৌ পাবে কী না তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিসিবি। তাদের বিশ্রাম দেয়া হবে কী না সেটি নিয়েও আছে শঙ্কা।
মে মাসের শুরুতে আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে বিশ্বকাপ মিশনে নামার আগে দেশে ফেরার অভিপ্রায় জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বেশ কয়েকজন সদস্য। এর পেছনে কারণ একটিই; প্রিয় পরিবারকে দূরে রেখে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের জন্য তাদের আড়াই মাসের বেশি সময় ইউরোপে অবস্থান করতে হবে। তাই বিশ্বমঞ্চে শতভাগ মনোনিবেশ করতে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে পরিবারের সঙ্গে কয়েকদিন সময় কাটানোকেই বিশ্বমঞ্চে দারুণ কিছু করার টনিক হিসেবে বিবেচনা করছেন স্টিভ রোডসের বেশ কয়েকজন শিষ্য।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না বিসিবি। এতো অল্প সময় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর চেয়ে ইংল্যান্ডে অবস্থান করে ফিটনেস নিয়ে কাজ করাকেই বেশি যুক্তিযুক্ত মনে করছে লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে সেকথাই জানালেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তার ভাষ্যমতে, ‘এটা আলোচনা হয়েছে কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া বাস্তবিক অর্থেই এটা কতটুকু সম্ভব তারও বিষয় আছে। কারণ তারা ছুটিটা চেয়েছে ৫-৬ দিনের জন্য। আসতে যেতে তিন দিন আর দেশে তিন দিন থেকে হোম সিকনেস কাটানোর চেয়ে ওখানে থেকে নিজেদের ফিটনেসের দিকে নজর দেয়াটাই আমার মনে হয় জরুরি। কতটুকু বাস্তবিক চিন্তা ভাবনা করে তারা এটা বলছে বোঝার বিষয়। বোর্ড কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি।’