যে বিশেষ আমলে নিরাপদ থাকবে নবজাতক

0
658

রমজানের ২২ তারাবিহতে যে সুরাগুলো পড়া হয়, সে সুরাগুলোর রয়েছে বিশেষ ফজিলত ও আমল। মুমিন বান্দা যদি বাস্তব জীবনে এ সুরাগুলোর আমল করে তবে অনেক ফজিলত লাভের পাশাপাশি রয়েছে অনেক উপকার। যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-

সুরা যুখরূফ
>> এ সুরাটি লিখে বৃষ্টির পানি দ্বারা ধুয়ে পান করলে মানুষের কফ-কাশি দূর হয়ে যায়। (তাফসিরে দুরারুন নজম,)
>> যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখবে যে, সুরা যুখরূফ তেলাওয়াত করছে, তার অর্থ দাঁড়াবে, ওই ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে সফল হবে আর পরকালে সে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে।

সুরা দুখান
– ইবনে মারদুবিয়া হজরত আবু উমামা বাহেলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে অথবা জুমআর দিনে সুরা দুখান তেলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরি করেন।
– বায়হাকির বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে এ সুরা এবং সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে। সে সকালে এমন অবস্থায় জাগ্রত হবে যে, তার সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে।
– ইমাম তিরমিজি ও বায়হাকি হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা দুখান তেলাওয়াত করবে, সত্তর হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকবে।
– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় সুরা দুখান, সুরা গাফের ও আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করবে, সকাল পর্যন্ত তাঁর হেফাজত করা হবে এবং সে কোনো প্রকার মন্দ কিছু দেখবে না।

সুরা যাছিয়া
– যে ব্যক্তি স্বপ্নে এ সুরাকে পাঠ করতে দেখবে, তার মধ্যে দুনিয়া ত্যাগের ভাব তৈরি হবে এবং তার মধ্যে আল্লাহর ভয় ও পরহেজগারী তৈরি হবে।
– সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর কেউ যদি এ সুরা লিবিপদ্ধ করে তার দেহে বেঁধে রাখে, তবে সব ধরনের কষ্টদায়ক বস্তু থেকে নবজাতক শিশু হেফাজত থাকবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ সুরাগুলোর নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। আামিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here