বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবার পবিত্র ঈদ উল ফিতর পালন করবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। কারাবন্দি অবস্থায় এই প্রথম বিএসএমএমইউতে ঈদ পালন করছেন তিনি।
আজ খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়াকে দেয়া হবে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি।
দুপুরের মেন্যুতে তার জন্য থাকছে ভাত অথবা পোলাও। এর মধ্যে তিনি যেটি খেতে চান সেটি আগে থেকে কারাগারে জানিয়ে দিতে পারবেন। খাবারগুলোর সঙ্গে আরও থাকছে ডিম, রুই মাছ, মাংস আর আলুর দম।
রাতে পোলাওয়ের সঙ্গে গরু অথবা খাসির মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন, পান-সুপারি এবং কোমল পানীয় পাবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
এসব মেন্যুর বাইরে খালেদা জিয়া অন্য কোনো খাবার খেতে চাইলে কারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারবেন। তবে সেই আইটেম তাকে দিতে বাধ্য নয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও তিনি চাইলে ঈদে পরিবারের সদস্যদের তৈরি খাবার খেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আগে থেকেই কারা কর্তৃপক্ষকে খাবারের বিষয়ে জানাতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম জানান, একজন বন্দির মতো খালেদা জিয়া কারা জেল কোড অনুযায়ী খাবার পাবেন। ঈদের দিন অনুমতি সাপেক্ষে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সেদিন তারা বেগম জিয়ার জন্য খাবারও নিয়ে আসতে পারবেন। কারা কর্তৃপক্ষ সেসব খাবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে খেতে দেবে।
গত বছর খালেদা জিয়া ঈদ পালন করেছিলেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা হওয়ার পর ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহা কারাগারেই পালন করেন তিনি।
এবারও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন তার গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম। তিনিও খালেদা জিয়ার মতোই খাবার পাবেন। এ ছাড়া পরিবারের লোকজনও তার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে যেতে পারবেন।