ছয় মাসের জন্য স্বল্পকালীন কমিটি অথবা নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ নেতারা। দাবি মেনে নেয়া না হলে সোমবার থেকে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির সদ্য সাবেক নেতারা।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির বলেন, ২০০০ সালের এসএসসির বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে। কারণ ২০০০ সালে এসএসসি পাস করা একজন ছাত্রের আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর।
‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নিয়মিত ছাত্র দিয়ে ছাত্রদল সাজানোর স্বপ্ন দেখেন তার সঙ্গে ২০০০ সালের এসএসসি ধরে ছাত্রদল সাজানো পুরোপুরি উল্টো। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের বিশেষ লক্ষ্য পূরনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ভুল উপস্থাপনা দিয়েছেন।’
‘এতে করে একদিকে যেমন সংগঠনটির ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, তেমনি তারা তারেক রহমানের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন। সিন্ডিকেট দ্বারা আরোপিত কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার অভিপ্রায় কোনোভাবেই ছাত্রদল পোষণ করে না।’
ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, দুই বছর মেয়াদী কমিটি ৫ বছর চললেও পার্টি কর্ণপাত করল না। তবু দুই বছরের কমিটির মেয়াদ প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ায় আমরা ৬ মাসের জন্য একটি ধারাবাহিক কমিটির আবেদন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে করেছিলাম। এতে দল তার কর্মীদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎতে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার পাশাপাশি, এখন দেশব্যাপী বেশ কিছু অসমাপ্ত সাংগঠনিক কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ পেত।
সাবেক সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, ২০০০ সালের এসএসসির বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে। কারণ ২০০০ সালে এসএসসি পাস করা একজন ছাত্রের আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তার মাত্র ২-৩ বছর আগে ৯৮-৯৭ সালে এসএসসি পাস করা সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকরা রয়েছেন। ৩৫-৩৬ বছর বয়সে ছাত্রদল করা গেলে ৩৭-৩৮ বছর বয়সে কেন করা যাবে না?
তিনি বলেন, এই বয়স নির্ধারণের সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সবাইকে বাদ দিয়ে সিন্ডিকেটের ব্যক্তিকেন্দ্রিক বয়স নির্ধারণ ছাত্রদলের লাখো লাখো নেতাকর্মী মোটেও মেনে নিতে পারছে না।