দ.আফ্রিকাকে বিদায় করে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান

0
47

হার দিয়ে আসর শুরু করেছিলো দু’দলই। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে একটা ম্যাচ জিতে রয়ে গেছে বিশ্বকাপের সেমির আশাতে। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় ছাড়া অন্যকিছুর বিকল্প ছিলো না পাকিস্তান কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার। এমন সমীকরণ নিয়ে ফাফ ডু প্লেসিসদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলো সরফরাজবাহিনী। ম্যাচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৯ রানে হারিয়ে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা।

লর্ডসে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান তুলেছে পাকবাহিনী। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান তুলেই থামে। ফলে ৪৯ রানে হেরে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হলো প্রোটিয়াদের। ৬ ম্যাচে ২ জয় ও একটি ভাগাভাগিসহ মোট ৫ পয়েন্ট পাকিস্তানের। অন্যদিকে ৭ ম্যাচের একটি জয় ও একটি পরিত্যক্তসহ ৩ পয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকার। বাকি আছে দুটি ম্যাচ। যা জিতলেও সেমিতে যাওয়া সম্ভব না।

৩০৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে মোহাম্মদ আমিরের বোলিং তোপে পড়েছিলো হাশিম আমলারা। শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে আমিরের শিকারে পরিণত হয়ে। পরে মার্করাম ও ডু প্লেসিস দলকে মেরামত করার দায়িত্ব নিলেও কাজ হয়নি। শাদাব খানের ব্রেকথ্রুতে ফেরেন ডি কক (৪৭)। আমিরের দ্বিতীয় শিকারে ডু প্লেসিস ফেরেন ৬৭ রানে। পরে ভ্যান ডার ডুসেন ও মিলার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কাজ হয়নি।

শাহিন শাহ ও শাদাব খানকে নিয়ে দারুণ বোলিং করেছেন আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ। রান কম দেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত উইকেট শিকার করেছেন দুজন। যদিও সবাই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। ওয়াহাব রিয়াজ ও শাদাব খান ৩টি করে এবং আমির ২টি ও শাহিন একটি উইকেট নেন।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। কিন্তু পাক শিবিরে আঘাত হেনে এ দুজনকেই ফিরিয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আফ্রিকান স্পিনার ইমরান তাহির। শুধু তাই নয় একই ইনিংসে দুজন ওপেনারের রানও সমান। ফখর ও ইমাম দুজনই ফিরেছেন ৪৪ রান করে। ওপেনিং জুটিতে এসেছিলো ৮১ রান।
পরে ২০ রান করে ফেরেন হাফিজ এবং ৬৯ রানে ফিরে যান বাবর আজম। ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে

পাকিস্তানকে এগিয়ে নেন হারিস সোহেল। এজুটি থেকে আসে ৮১ রান। ইমাদ করেন ২৩ এবং হারিস করেন ৮৯ রান। ৫৯ বলের ঝড়ো ইনিংসে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। প্রোটিয়াদের হয়ে লুঙ্গি এনগিদি ৩টি, ইমরান তাহির ২টি এবং ফেলুকাওয়াও ও মার্করাম একটি করে উইকেট নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here