প্রবাসীদের পেনশন স্কিম চালুর জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরাবর মানবিক আবেদন জানিয়েছেন অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি।
প্রবাসীরা হলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। অথচ বাংলাদেশিরা তার নিজ দেশে অনেক সময় অবহেলিত হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে নিজের পরিবার পরিজনের আবদার পূরণ করার পর শেষ সময়ে নিজের কাছে কিছুই থাকে না। তখন অনেকটা অসহায় জীবন যাপন করতে হয়।
এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর পেনশন স্কিম চালু করার আবেদন করেছেন ভিয়েনাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি এবং আয়েবার কার্যকরী কমিটির সদস্য পারভেজ মনোয়ার।
পারভেজ মনোয়ার বলেন, বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য এবং মালয়েশিয়া ভ্রমন করার সময় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইয়ের কষ্ট দেখে নিজের মধ্যে একটি চাপা কষ্ট বিরাজ করতো। এছাড়াও আমার অনেক ভাইকে দেখেছি যারা দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে থাকার পর নিজের কাছে শেষ সম্বল বলতে কিছু থাকে না।
অনেকেই শেষ বয়সে অনেক নিগ্রহের মধ্যে জীবন যাপন করতে হয়। তখন দেখার মতো কেউ থাকেনা। তাই আমি নিজে থেকেই সরকারের কাছে সকল প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু বিষয়ক আবেদন করার চিন্তাভাবনা করি।
তাই সর্বপ্রথম অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের ভিয়েনা সন্মেলনে ভিয়েনাস্থ রাষ্ট্রদূত এম আবু জাফর বরাবর এ আবেদন করি। রাষ্ট্রদূত এ আবেদন গ্রহন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর কথা বলার আশ্বাস দেন। মনোয়ার পারভেজ একান্ত আলাপকালে এ পেনশন স্কিমের কয়েকটি গুরুত্তপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি। প্রবাসীদের পেনশন স্কিম গড়ে বছরে ১০০ থেকে ৩০০ ডলার হয়। তাহলে সরকার বছরে প্রায় ১ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা পাবে প্রবাসীদের কাছ থেকে।
দেখা যাচ্ছে এ বৈদেশিক মুদ্রা প্রিমিয়াম হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরকারকে প্রদান করলে সরকার ও দেশের জনগন যেমন লাভবান হবে তেমনি প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরবর্তীতে এ সুফল ভোগ করবে। আমি আশা করবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার এ আবেদনটি গ্রহন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে এ বিষয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেবেন।