0
75

সিরিয়ায় রুশ হামলায় দুই মাসে ৫৪৪ জন নিহত

সিরিয়ায় রাশিয়ার নেতৃত্বে হওয়া হামলায় গত দুই মাসে অন্তত ৫৪৪ জন নিহত ও দুই হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন। আর এটি ঘটেছে বিদ্রোহী অধ্যূষিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। সেসব অঞ্চলে কাজ করা মানবাধিকার ও উদ্ধারকারী সংস্থার দেয়া হিসাবের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

গত ২৬ এপ্রিল রুশ সামরিক বিমান সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ব্রিদ্রোহী অধ্যুষিত ইদলিব প্রদেশ এবং পাশের হামা প্রদেশে বেশ বড় ধরনের হামলা শুরু করে। গত গ্রীষ্মকালের পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার প্রতিপক্ষের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে বড় লড়াই এটি। এসব অঞ্চল এখনও বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে।

দ্য সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউমান রাইটস (এসএনএইচআর) দেশটির চলমান যুদ্ধে মানুষের নিহত হওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে জানায়। তারা বলছে, রুশ সামরিক বিমান এবং সিরিয়ান সেনাবাহিনীর শতাধিক বিমান হামলায় অন্তত ৫৪৪ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৩০ জন শিশু। এ ছাড়া প্রায় ২ হাজার ১১৭ মানুষ আহত হয়েছেন।

এসএনএইচআর এর চেয়ারম্যান ফাদেল আব্দুল ঘানি বলেছেন, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এবং তাদের সিরিয়ান মিত্ররা বেপরোয়াভাবে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে। এ ছাড়াও তারা রেকর্ডসংখ্যক হাসপাতালে বোমা হামলা করেছে।’

তবে রাশিয়া এবং সিরিয়ার সামরিক বাহিনী উভয়ই বেসামরিক স্থাপনায় গুচ্ছ গুচ্ছ সমরাস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলার এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মস্কো বলছে, তাদের বাহিনী এবং সিরিয়ান সেনাবাহিনী যৌথভাবে আল কায়েদা জঙ্গিদের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করেছে মাত্র।

রাশিয়া আরও দাবি করছে, সন্ত্রাসীরা সিরিয়ার জনবহুল এলাকা এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে নিয়মিতই হামলা চালিয়ে আসছে। গত বছর রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তিও সন্ত্রাসী ভাঙার চেষ্টা করছে বলে দাবি তাদের।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউমান রাইটস ওয়াচ জানায়, সেসব অঞ্চলে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে, রাশিয়া এবং সিরিয়ার যৌথ সামরিক জোট আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য বিস্ফোরক অস্ত্র, গুচ্ছ গুচ্ছ সমরাস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। যার কারণে বেসামরিক এলকাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here