বৈশ্বিকভাবে জলবায়ু সঙ্কটের মোকাবিলা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

0
57

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জলবায়ু সঙ্কট একটি বৈশ্বিক সমস্যা, এটিকে বৈশ্বিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।’

‘মানবিক কারণে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় কক্সবাজারে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে গেলেই বাংলাদেশের ভালো হবে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১০ জুলাই) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের (জিসিএ) ঢাকা বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ায় বান কি মুনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশসহ ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু সঙ্কটের হুমকিতে আছে। বর্তমান হারে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়লে বাংলাদেশের ১৯ উপকূলীয় অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমরা জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। দেশে ৫০ লাখেরও বেশি সৌর প্যানেল দেওয়া হয়েছে। প্রতি ফোটা পানি মূল্যবান, তাই পানি বাঁচাতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি ১০ বছরে ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশে ফিরে আসে। ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখ মানুষ মারা গেছেন। এরপর বঙ্গবন্ধুই সাইক্লোন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। এখন ৩৩৮টি মুজিব কেল্লা তৈরি করেছে বর্তমান সরকার। শুধু সরকারিভাবে নয়, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবেও বৃক্ষরোপণ করছে। আগামী ২৫ বছরে ২২ থেকে ২৫ শতাংশ বনভূমি গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাসমান সবজি বাগান করে ফসল উৎপাদন করে খাদ্য বাড়ানো হচ্ছে।’

এ সম্মেলন থেকে উঠে আসা সুপারিশগুলো আগামী জাতিসংঘ সম্মেলনে পেশ করা হবে।

জিসিএ’র বর্তমান চেয়ার বান কি মুন বৈঠকের ‘ওয়ে ফরোয়ার্ড অ্যান্ড নেক্সট স্টেপ টুওয়ার্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য দেন।

বৈঠক উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই হোটেলে মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ড. হিলদা হেইন ও বান কি মুনের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রচেষ্টা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ড. হিলদা হেইন, বান কি মুন ও জিসিএ কো-চেয়ার ড. ক্রিস্টালিন জর্জিভা বক্তব্য দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here