রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানোর জন্য মিয়ানমারকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি এই আশ্বাস দেন। শুক্রবার (১৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
পেন্স ‘অ্যাডভান্সিং রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ শীর্ষক দ্বিতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১০৬টি দেশের প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর আমন্ত্রণে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আয়োজিত এ বৈঠকে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় মার্কিন শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দানে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশকে মানবতার দেশ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারকে তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সেদেশের ওপর চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানান ড. মোমেন। এ সময় তিনি দেশের জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের বিষয় তুলে ধরেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধর্মীয় বহুত্ববাদ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সমুন্নত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যেকোনও ধরনের সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করছে।’’
সম্মেলনের ফাঁকে হাঙ্গেরি, ইরাক, বাহরাইন ও মাল্টার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন ড. মোমেন। সূত্র: বাসস